কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের ঘোষিত ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রাজধানীজুড়ে ব্যাপক তল্লাশি ও অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সম্ভাব্য নাশকতা প্রতিরোধে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তৎপরতা বেড়েছে কয়েকগুণ। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) রাতভর রাজধানীর বিভিন্ন হোটেল, আবাসিক মেস ও গেস্টহাউসে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগের ৪৪ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কার্যক্রমে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর অংশ হিসেবে ডিবি পুলিশ ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পূর্বের নাশকতা ও ভাঙচুরের মামলার রেকর্ডও পাওয়া গেছে।
এর বাইরে ডিএমপির বিভিন্ন অপরাধ বিভাগ পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে আরও বেশ কিছু সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে হেফাজতে নিয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বঙ্গবন্ধু অ্যাভেনিউ, কাকরাইল, ফকিরাপুল, এলিফ্যান্ট রোডসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত একাধিক হোটেল ও মেসে তল্লাশি চালায়। অতিথিদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই ছাড়াও তাদের পেশা, ঢাকায় আগমনের কারণ ও অবস্থানস্থল সম্পর্কে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকি অনেকের মোবাইল ফোনও পরীক্ষা করা হয়, তারা নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত কি না তা যাচাইয়ের জন্য।
রমনা বিভাগের ডিসি মাসুদ আলম জানান, গোপন তথ্য ও গোয়েন্দা তৎপরতার ভিত্তিতেই এসব অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। “গতরাতে কলাবাগানের একটি মেস থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা নাশকতা সংগঠনের উদ্দেশ্যে সেখানে জড়ো হয়েছিল,” বলেন তিনি।
গ্রেপ্তারদের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা কাউকে সন্দেহের বশে ধরছি না। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তথ্য-প্রমাণ যাচাই করি। পুলিশের অপরাধী ডাটাবেজ (সিডিএমএস)-এ যাচাই করে দেখা গেছে, বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুরনো মামলা রয়েছে। কলাবাগানে যাদের ধরা হয়েছে, তাদের মধ্যে পাঁচজন গোপালগঞ্জের, এবং আগেও নাশকতার মামলায় জড়িত ছিলেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, এবং লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে যেন কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সহিংসতা না ঘটে, সে বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।































