লকডাউনকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা ও বরিশাল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ শুরু করে।
এ সময় সড়কের উপর গাছের গুঁড়ি ফেলে, টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে এবং হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাদের। এমনকি বেশ কয়েকজন শিশুকেও লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্র হাতে সড়কে অবস্থান নিতে দেখা গেছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধ চলে প্রায় সকাল ৯টা পর্যন্ত। আলগী ইউনিয়নের শুয়াদী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয় এবং অনেক যাত্রী বিপাকে পড়েন।
জেলা যুবলীগ নেতা দেবাশীষ নয়ন তার ফেসবুক পেজ থেকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ) করেন। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, শতাধিক নেতা-কর্মী রামদা, ঢাল ও সরকিসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র হাতে সড়কে অবস্থান করছেন।
ভিডিওতে কয়েকজন নারী ও অন্তত ১০ জন শিশুকেও দেখা যায়, তাদের মধ্যে একজন শিশুকে হাতে রামদা নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জমুখী অংশটি দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত এলাকা। লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণার আগেই বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেন এবং ভোর থেকে তারা অবরোধ শুরু করেন।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান বলেন, “ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুরে অবরোধকারীরা অবরোধের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়। তবে ভাঙ্গার পুলিয়া এলাকায় কিছুক্ষণ অবরোধ চলেছিল, সেটি আমরা এক ঘণ্টার মধ্যেই সরিয়ে ফেলেছি।”
অবরোধের কারণে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকলেও বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা।



































