রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ না করা হলে হরতাল ও অবরোধের হুঁশিয়ারি

রংপুরে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধ না করা হলে হরতাল ও অবরোধের হুঁশিয়ারি ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৯:৪৩, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

রংপুরে হয়রানিমূলক প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধে জেলা প্রশাসক নির্বাহী আদেশ জারি না করলে, হলে হরতাল-অবরোধ  কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটি।

আজ ৬ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ। লিখিত বক্তব্যে পলাশ কান্তি নাগ বলেন, নর্দান ইলেকট্রিসিটি পাওয়ার কোম্পানি (নেসকো) গ্রাহকদের আপত্তি সত্ত্বেও নানা কৌশল ও জবরদস্তি করে বাসা-বাড়ি, দোকানপাট ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের কাজ অব্যাহত রেখেছে।

ইতিপূর্বে গ্রাহকদের আন্দোলনের মুখে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নেসকো কর্তৃপক্ষকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রিপেইড মিটার স্থাপন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নেসকো সেই নির্দেশনা অমান্য করছে।

এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে নেসকো কর্তৃপক্ষের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মতামত গ্রহণ কিংবা একটি গণশুনানির আয়োজন করা উচিত ছিল।

বিদ্যুৎ আইন ২০০৩-এর ৫৬ নম্বর ধারা মতে, গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে কোম্পানিকে ১৫ দিন পূর্বে নোটিশ দিতে হয়। প্রিপেইড মিটার কার্ডের রিচার্জকৃত টাকা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

যা বিদ্যুৎ আইনের পরিপন্থি। পলাশ কান্তি নাগ বলেন, হাইকোর্ট বিভাগে হয়রানিমূলক প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধে একটি রিট পিটিশন চলমান রয়েছে। যা নিরাপত্তি হওয়ার পূর্বেই নেসকো কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে প্রিপেইড মিটার সংযোগের কাজ করছে। প্রিপেইড মিটার সংযোগের মাধ্যমে গ্রাহকরা মিটার ভাড়া ও সারচার্জ বাবদ ৩০% আর্থিক ক্ষতি ও ভোগান্তির শিকার হবেন।

প্রিপেইড মিটারে প্রতিবার ১ হাজার টাকা রিচার্জে এজেন্ট কমিশন বাবদ ২০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। প্রতিমাসে গ্রাহকদের মিটার ভাড়া বাবদ ৪০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। কতদিন ভাড়া পরিশোধ করতে হবে তা অস্পষ্ট। গ্রাহকরা নিজেদের টাকায় ইতোপূর্বে অ্যানালগ ও ডিজিটাল মিটার ক্রয় করলেও তার জন্য কোনো টাকা বিদ্যুৎ বিভাগ পরিশোধ করেনি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নগরীর বাসা-বাড়িতে প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে নির্বাহী আদেশ জারি করা না হলে, হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নীপেন্দ্রনাথ রায়, এবিএম মসিউর রহমান, আব্দুল হামিদ বাবু, মাহফুজার হোসেন প্রমুখ।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement