মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তার প্রশাসনের অভিবাসন নীতি নিয়ে তুলনামূলকভাবে নমনীয় অবস্থান নিয়েছেন। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রে এখন নির্দিষ্ট কিছু পেশায় দক্ষ ও প্রতিভাবান জনবল ঘাটতি রয়েছে। তাই বিদেশি বিশেষজ্ঞ ও প্রতিভাবান কর্মীদের সুযোগ দেওয়া দরকার, বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসার মাধ্যমে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রচারিত সেই সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এমন কিছু খাত আছে যেখানে স্থানীয়ভাবে পর্যাপ্ত যোগ্য মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিশ্বজুড়ে প্রতিভাবান কর্মীদের আকৃষ্ট করাই হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লাভজনক।
ফক্স নিউজের সঞ্চালক লরা ইনগ্রাহামের সঙ্গে আলোচনায় তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণহীন বা দীর্ঘ সময় বেকার থাকা মার্কিন নাগরিকদের দিয়ে উৎপাদন বা প্রতিরক্ষা খাতে জটিল দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়। এজন্যই দক্ষ বিদেশিদের অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন।
যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, আমেরিকায় কি পর্যাপ্ত প্রতিভা নেই, ট্রাম্প সরাসরি উত্তর দেন, “না, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে আমাদের প্রতিভা নেই। আমাদের সেই ঘাটতি পূরণে বাইরে থেকে মেধাবী মানুষ আনতে হবে।”
তার এই বক্তব্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ তার প্রশাসন অতীতে কঠোর অভিবাসন নীতির জন্যই পরিচিত ছিল। বিশেষ করে এইচ-১বি ভিসা নীতির ক্ষেত্রে ট্রাম্প সরকার কঠোরতা আরোপ করেছিল। এমনকি গত সেপ্টেম্বরে নতুন ভিসা আবেদনকারীদের জন্য ১ লাখ ডলারের অতিরিক্ত ফি নির্ধারণ করা হয়।
অভিবাসন সংস্কার ইস্যুতে ট্রাম্পের এই নরম অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে—বিশেষ করে এমন সময়ে, যখন দেশটি বিদেশি মেধা নির্ভর প্রযুক্তি ও গবেষণায় আরও আগ্রহী হয়ে উঠছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


































