সংস্কারবিরোধীদের সঙ্গে কোনো জোট নয়: নাহিদ ইসলাম

সংস্কারবিরোধীদের সঙ্গে কোনো জোট নয়: নাহিদ ইসলাম ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৮:০৪, ২ নভেম্বর ২০২৫

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন ও সংস্কার—এই দুটি বিষয়কে একে অপরের থেকে আলাদা করে দেখলে ঐক্যের ভিত্তি দুর্বল হয়ে যায়।

তাই, যারা সংস্কারের পক্ষে থাকবে না, তাদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে জোটবদ্ধ হওয়া সম্ভব নয়। আমরা নিজেদের প্রস্তুতি আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী এগিয়ে নিচ্ছি।

রোববার (২ নভেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের মূল দাবি স্পষ্ট—বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়ে তোলা, আওয়ামী ফ্যাসিবাদ থেকে দেশকে মুক্ত করা, এবং বিদেশি প্রভাব ও আধিপত্য থেকে স্বাধীন অবস্থানে ফিরে যাওয়া।

এই দাবিগুলোর সঙ্গে যাদের অবস্থান মিলবে, তাদের সঙ্গে ঐক্য বা সমঝোতার বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নেব। তবে এখন পর্যন্ত কারও সঙ্গে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি, তবুও আমাদের দরজা সবার জন্য খোলা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, আমরা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি নিজে ঢাকা থেকে প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আর কে কোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেই প্রার্থীতালিকা আমরা এই মাসের মধ্যেই প্রকাশ করতে পারব বলে আশা করছি।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে একদল সংস্কারের বিষয়টিকে নস্যাৎ করছে, আরেক দল নির্বাচন বিলম্বিত করার কৌশল নিচ্ছে। কিন্তু আমরা এই দুই অবস্থানের কোনোটির পক্ষেই নই। আমরা চাই, নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং জুলাই সনদ আইনি স্বীকৃতি পাক। এজন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান—আসুন, আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই, দেশকে এই অচলাবস্থা থেকে বের করে আনতে একসঙ্গে কাজ করি।

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, গণভোট নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন—যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এটি কখন হবে, সেটি মুখ্য নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আদেশটি জারি করা এবং তা বাস্তবায়ন করা।

তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, জুলাই সনদ প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মাধ্যমে জারি হতে হবে। কারণ, যদি এটি তথাকথিত প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত হয়, তবে এটি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে এবং সেই আন্দোলনের আত্মাকে হত্যা করবে।

শেষে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের দমননীতি ও রাজনৈতিক জুলুমের পেছনে ভারতের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহায়তা রয়েছে। তাই ভারতের প্রতি আমাদের আহ্বান—বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, জুলাই বিপ্লবকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং সমমর্যাদার ভিত্তিতে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement