দেশের স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে সমমনা আট দল, রংপুরে আব্দুল হালিম
Published : ২১:১২, ২ ডিসেম্বর ২০২৫
দেশের স্থিতিশীলতার স্বার্থে প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীসহ আন্দোলনরত সমমনা আট দল একই দিনে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম।
তিনি বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সরকারের জারি করা আদেশকে বৈধতা দিতে গণভোট অত্যাবশ্যক। জামায়াতসহ ৮ দল গণভোট আলাদা দিনে করার প্রস্তাব দিলেও দেশের স্থিতিশীলতার কথা বিবেচনা করে প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একই দিনে গণভোটে রাজি হয়েছেন।
গণভোট হলে জনগণ হ্যাঁ-এর পক্ষেই রায় দেবে এ বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ আশাবাদী। আজ ২ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আন্দোলনরত ইসলামী সমমনা ৮ দলের ডাকা বিভাগীয় সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা আব্দুল হালিম অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টির তোষামোদী ভূমিকার কারণেই শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টির বড় চমক হলো আওয়ামী লীগকে তুষ্ট করতে করতে তারা ভারতের আজ্ঞাবাহী শেখ হাসিনাকে ১৫ বছর ক্ষমতায় টিকিয়ে রেখেছে।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের অগণতান্ত্রিক নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট ব্যাহত হওয়ার পেছনেও তাদের অন্যতম দায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, এক সময় রংপুরসহ দেশের মানুষের সহানুভূতি জাতীয় পার্টির প্রতি থাকলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রতি অন্ধ সমর্থনের মাধ্যমে দলটি জনগণের আস্থা হারিয়েছে।
এ কারণে আওয়ামী লীগের মতোই জাতীয় পার্টির কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবি এখন সাধারণ মানুষের গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে মাওলানা হালিম বলেন, সমাবেশ সফল করতে ৮ দলের নেতারা আন্তরিকতা ও মনোযোগ নিয়ে কাজ করছেন। কয়েক লক্ষ মানুষের সমাগমে সমাবেশ জাতির সামনে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
একই সঙ্গে পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে নতুন বার্তা দিতেই বিভাগীয় সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানানো হয়। তিনি আরও বলেন, আগামীকাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ৮ দলের নেতা ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম।
সভাপতিত্ব করবেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। বক্তব্য রাখবেন জামায়াতের নায়েবে আমির এটিএম আজহারুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন্দ, নেজামে ইসলামী পার্টির নায়েবে আমির মুফতি মোখলেছুর রহমান কাসেমী, সাংগঠনিক সচিব হাফেজ মাওলানা আবু তাহের খান, খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ,
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, সংগঠক মুফতি মাহমুদুল হাসান, খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সালাহউদ্দিন, জাগপার সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলামসহ ৮ দলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
এসময় তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় দল-মত নির্বিশেষে দেশবাসী প্রার্থনা করছেন, যা জাতিগত ঐক্য ও সৌহার্দ্যের প্রতীক।
আমরা এমন সম্পর্কই চাই, যেখানে ঐক্য ও সৌহার্দ্য থাকবে, যাতে সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। বেগম খালেদা জিয়া দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে তার অবদান তাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রংপুর মহানগর আমির ও রংপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী উপাধ্যক্ষ এটিএম আযম খান, সেক্রেটারি কে এম আনোয়ারুল হক কাজল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রংপুর মহানগর সভাপতি মুফতি আব্দুর রহমান কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক ও রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী আমিরুজ্জামান পিয়াল, রংপুর-১ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক রায়হান সিরাজীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
বিডি/এএন
































