হংকং সিক্সেস টুর্নামেন্টের প্রথম প্লেট সেমিফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ দল।
তবে ফাইনালে এসে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি আকবর আলী ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের দল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য হংকংয়ের প্রয়োজন ছিল ৩০ রান, কিন্তু সেই ওভারেই বোলার আকবর আলী ৫ ছক্কা হজম করলে হাতছাড়া হয় শিরোপা।
রোববার (৯ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত প্লেট ফাইনালে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল ১২০ রানের একটি বড় লক্ষ্য দাঁড় করায়। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারালেও হংকং জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। অসাধারণ ব্যাটিং করে ৮৫ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচসেরা হন হংকংয়ের আইজাজ খান।
হংকংয়ের ইনিংসের শুরুটা ছিল একেবারেই হতাশাজনক। প্রথম ওভারেই রনি দুটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন। বাবর হায়াত ও আনশি রাঠ কোনো রান না করেই সাজঘরে ফেরেন। তবে এরপর দলকে ভরসা দেন আইজাজ খান ও নিজাকাত খান। দুজন মিলে গড়ে তোলেন গুরুত্বপূর্ণ পার্টনারশিপ। আইজাজ ১৫ বলে দ্রুত ৫৫ রান তোলেন। নাসরুল্লাহ রানা ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৪ রান করে আউট হন রনির বলে।
শেষ ওভারে হংকংয়ের দরকার ছিল ৩০ রান, তখন আবার ব্যাটিংয়ে ফিরে আসেন আইজাজ। আকবর আলীর করা শেষ ওভারে তিনি অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে হাঁকান পাঁচটি ছক্কা এবং তুলে নেন ৩২ রান। মাত্র ২১ বলে চারটি চার ও ১১টি ছক্কার সাহায্যে তিনি অপরাজিত ৮৫ রানে ম্যাচ শেষ করেন।
এর আগে বাংলাদেশের ইনিংসে শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না। ইনিংসের প্রথম বলেই শূন্য রানে আউট হন হাবিবুর রহমান সোহান। তবে এরপর জিসান আলম ও আকবর আলী দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন। জিসান ৭ বলে ২৭ রান করেন, যেখানে ছিল চারটি ছক্কা।
মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত শূন্য রানে ফিরলেও আবু হায়দার রনিকে সঙ্গে নিয়ে আকবর ইনিংসের গতি বাড়ান। রনি মাত্র ৮ বলে ২৮ রান করেন, আর আকবর খেলেন দুর্দান্ত ১৩ বলে ৫১ রানের ইনিংস। তার ব্যাটে আসে ১টি চার ও ৭টি ছক্কা। এই ইনিংসের দৌলতে বাংলাদেশ দল গড়ে ১২০ রানের বড় সংগ্রহ, যা শেষ পর্যন্তও শিরোপা এনে দিতে পারেনি।



































