মেসির আর এক শিরপা জয়

মেসির আর এক শিরপা জয় ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৩:২০, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

লিওনেল মেসি যখন মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) পা রাখেন, তখন ইন্টার মায়ামি ছিল লিগের অন্যতম দুর্বল দল। কিন্তু তাঁর উপস্থিতি, নেতৃত্ব এবং মাঠের জাদু পুরো দলটির ভাগ্য বদলে দেয়।

সেই ধুঁকতে থাকা দলটি এবার প্রথমবারের মতো ক্লাবের ইতিহাসে এমএলএস কাপ জিতে চূড়ান্ত সাফল্যের স্পর্শ পেল।

শনিবার (৬ ডিসেম্বর) চেজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভ্যানকুভার হোয়াইটক্যাপসকে ৩-১ ব্যবধানে পরাজিত করে ফ্লোরিডা ভিত্তিক এই দলটি তাদের কাঙ্ক্ষিত ট্রফি নিশ্চিত করে।

যদিও ফাইনালে মেসি নিজে গোল করতে পারেননি, তবুও পুরো ম্যাচজুড়ে সবচেয়ে প্রভাবশালী খেলোয়াড় ছিলেন তিনিই। ইন্টার মায়ামির তিনটি গোলের প্রতিটিতেই তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল, যা আবারও প্রমাণ করে মাঠে তার উপস্থিতি কেবল গোল দিয়েই নয়—খেলা গড়ে তোলার মাধ্যমেও দলকে কতটা এগিয়ে দেয়। এই জয়ের ফলে তার পেশাদার ফুটবল জীবনে যোগ হলো ৪৭তম শিরোপা (সিনিয়র পর্যায়ে ৪৪তম), যা অন্য কারও অর্জনে নেই।

মেসি আসার পর থেকেই ইন্টার মায়ামির খেলায় নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যায়। আগেই তারা প্রথম মৌসুমে লিগস কাপ জিতেছিল এবং পরবর্তী সময়ে সাপোর্টার্স শিল্ড ও ইস্টার্ন কনফারেন্সের শিরোপা যোগ করে নিজেদের ধারাবাহিক সাফল্যের ঘোষণা দেয়। এবারের এমএলএস কাপ সেই যাত্রার শেষ ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।

ফাইনালের শুরুতেই মেসি মধ্যমাঠে বল ধরে অসাধারণ এক থ্রু পাস দেন তাদেও আলেন্দেকে। ডান দিক থেকে আলেন্দের ক্রসে ভ্যানকুভার ডিফেন্ডার এডিয়ার ওকাম্পো ভুল করে নিজেদের জালেই বল পাঠান, ফলে দ্রুত লিড পায় মায়ামি।

দ্বিতীয়ার্ধে ভ্যানকুভার সমতায় ফিরলেও মেসির পারফরম্যান্সই ম্যাচের গতি পাল্টে দেয়। এক পর্যায়ে তিনি আন্দ্রেস কুবাসের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে নির্মলভাবে তা বাড়িয়ে দেন রদ্রিগো ডি পলের কাছে।

ডি পল সহজেই গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান। যোগ করা সময়েও মেসি আরেকটি দুর্দান্ত পাসে আলেন্দেকে গোল করার সুযোগ করে দেন। পুরো প্লে-অফ জুড়ে মেসি গোল এবং অ্যাসিস্ট মিলিয়ে ১৫টি সরাসরি অবদান রাখেন (৬টি গোল, ৯টি অ্যাসিস্ট), যা তাকে আবারও দলের প্রাণভোমরা হিসেবে প্রমাণ করে।

এই ম্যাচটি শুধু ইন্টার মায়ামির প্রথম এমএলএস কাপ জয় হিসেবেই বিশেষ ছিল না—এটি ছিল বার্সেলোনার দুই কিংবদন্তি জর্দি আলবা ও সের্জিও বুসকেটসের পেশাদার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচও। আলবা বার্সেলোনার হয়ে ১১ মৌসুমে ছয়টি লা লিগা এবং একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ বহু সাফল্য অর্জন করেছেন।

অন্যদিকে বুসকেটস বার্সেলোনার জার্সিতে ৭২২ ম্যাচ খেলে ৩২টি বড় শিরোপা জিতেছেন। স্পেন জাতীয় দলের হয়েও তারা ইউরো এবং বিশ্বকাপের স্বাদ পেয়েছেন। এমএলএস কাপ জয়ের মধ্য দিয়ে তাদের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ার এক স্মরণীয় এবং সফল সমাপ্তি পেল।

বিডি/এএন

শেয়ার করুনঃ
Advertisement