ফেনীতে রেকর্ড বৃষ্টিপাত, কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত

Published : ১২:৫৮, ৩০ মে ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় চলতি মৌসুমে এক দিনে এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড। শুক্রবার (৩০ মে) সকালে ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে জেলায় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৫৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে এটি একদিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড। আগামীকাল পর্যন্ত জেলাজুড়ে বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় জেলার সোনাগাজীর চার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বৃষ্টি না কমলে অবস্থা আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এদিকে ভারী বৃষ্টিপাত ও নিম্নচাপে অস্বাভাবিক জোয়ার এবং তীব্র স্রোতের কারণে জেলার উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে অস্বাভাবিক জোয়ার ও তীব্র স্রোতের কারণে চরচান্দিয়া, চরমজলিশপুর, চরদরবেশ ও বগাদানা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি বাড়লে ভারতের উজানের পানিতে মুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতের উজানে বৃষ্টিপাত বাড়লে বাংলাদেশের অংশে নদীর পানি বাড়বে। এখনো মুহুরি নদীর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার আশঙ্কায় আমাদের সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। ইতোমধ্যে জেলার পরশুরাম উপজেলায় ২১টি ও ফুলগাজীতে ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধের বিষয়ে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গেল বছরের জুলাই-আগস্টে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে ফেনীর জনপদ। তারমধ্যে ১৯ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া বন্যার ভয়াবহতা ছাড়িয়ে গেছে অতীতের সব ইতিহাস। ভয়াবহ এ বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৯ জন। এ ছাড়া সড়ক যোগাযোগ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মোটরযান, ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় প্রত্যেক খাতেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে শত কোটি টাকা। বন্যায় গ্রাম ছাড়িয়ে ডুবেছে জেলা শহরও। পানিবন্দি ছিলেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। বন্যার্ত মানুষদের উদ্ধার ও সহায়তায় এগিয়ে এসেছিল সারাদেশের হাজারো মানুষ।
এনই