গাইবান্ধায় নবজাতককে হত্যা, মাসহ গ্রেপ্তার ২

গাইবান্ধায় নবজাতককে হত্যা, মাসহ গ্রেপ্তার ২

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

Published : ২০:৩৬, ১ জুন ২০২৫

বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়ে পড়েন ফাতেমা আকতার। জন্ম দেন এক ছেলে সন্তান। তবে সন্তানের পিতার পরিচয় নিয়ে পড়েন বিপাকে। ছোট্ট শিশুটি কার পরিচয়ে বড় হবে- এমন প্রশ্নের উত্তর না পেয়ে নবজাতককে গলা টিপে হত্যা করেন পাষন্ড মা।

পরে মৃত সেই শিশুটিকে ফেলে দেন বিলের পানিতে। এসব কথা গ্রাম্য সালিশে স্বীকার করেছেন ওই মা। এরপরই অভিযুক্ত ফাতেমা ও তার মাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাটি পলাশবাড়ি উপজেলার কিশোরগাড়ি ইউনিয়নের আসমতপুর গ্রামে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- কুমারী ফাতেমা আকতার ও তার মা গোলাপী বেগম। তারা দুজনেই বাড়ী আসমতপুর গ্রামে।

এলাকাবাসী জানান, আসমতপুর গ্রামের মনজু মিয়ার অবিবাহিত মেয়ে ফাতেমা আকতার গর্ভবতী হয়ে পড়ে। গত ১৬ মে গাইবান্ধার একটি ক্লিনিকে ভর্তি হন তিনি। জন্ম দেন এক ছেলে সন্তানের। কিন্তু নিজের অপকর্ম ঢাকতে ও প্রতারক প্রেমিককে বাঁচাতে নবজাতককে জন্মের দুদিন পর গলাটিপে হত্যা করে।

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে বালিয়াগাড়ী বিলে নবজাতকের লাশ ফেলে দিয়ে আসে। গত ১৯ মে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে সংবাদ দেয় এলাকাবাসী। পরে ঘটনাস্থলে এসে নবজাতকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ১৯ মে বিকালে আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে বেওয়ারিশ লাশ হিসাবে ওই নবজাতককে দাফন করা হয়। এ ঘটনার পর গ্রামে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। নবজাতকের গর্ভধারিনী কে তার খোঁজ শুরু হয়। একপর্যায়ে নবজাতকের জন্মদাত্রী ফাতেমা প্রকাশ্যে আসেন। গ্রামের এক সালিশে কয়েকশ মানুষের সামনে নিজের অপকর্মের কথা স্বীকার করেন তিনি। পাশাপাশি নবজাতককে হত্যার লোহমর্ষক বর্ণনা দেন।

ওই শিশুর বাবার পরিচয় প্রকাশ করেননি ফাতেমা। এতে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। নবজাতককে হত্যার ঘটনায় গত ২৭ মে ওই গ্রামের ইয়াসিন মন্ডল বাদী হয়ে পলাশবাড়ি থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় ফাতেমা আক্তার, তার মা গোলাপী বেগম ও বাবা মনজু মিয়াকে আসামি করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার বিকালে নবজাতক হত্যার অভিযোগে মা ফাতেমা ও তার মা গোলাপী বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।পলাশবাড়ি থানার ওসি জুলফিকার আলী বলেন, নবজাতক হত্যার সঙ্গে জড়িত মা বিষয়টি স্বীকার করেন। গর্ভধারিনীসহ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement