যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ

Published : ১০:০১, ১২ জুন ২০২৫
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এখন লস অ্যাঞ্জেলেসে সীমাবদ্ধ নেই। ছড়িয়ে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে।
চলমান বিক্ষোভের ষষ্ঠ দিনে গতকাল লস অ্যাঞ্জেলেসের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক ও শিকাগোসহ বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়। রাস্তায় নেমে আসেন হাজার হাজার মানুষ।
বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের কিছু এলাকায়ও ন্যাশনাল গার্ডের সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যেই আগামী শনিবার যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ‘নো কিং’ নামে বড় বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় গণজমায়েত হতে পারে এদিন।
আন্দোলনের শুরু থেকেই ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয় ক্যালিফোর্নিয়ার জনপ্রতিনিধিরা। অঙ্গরাজ্যটির ৩০ শহরের মেয়রদের নিয়ে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অভিবাসীবিরোধী অভিযান বন্ধ এবং মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানায় লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন ব্যাস। সেনা মোতায়েনের কারণে সাধারণ মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন বলেও জানান তিনি।
চলমান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও লুটপাটের ঘটনায় লস অ্যাঞ্জেলেসে জারি রয়েছে কারফিউ।
আগামী বেশ কয়েকদিন কারফিউ বলবৎ থাকবে বলে জানায় মেয়র অফিস। কারফিউয়ের প্রথমদিনে বড় ধরনের কোনো সহিংসতা না ঘটলেও অব্যাহত রয়েছে গণগ্রেপ্তার। গত মঙ্গলবার পর্যন্ত আটক করা হয় ৩ শতাধিক।
এদিকে লস অ্যাঞ্জেলেসে মোতায়েন করা ন্যাশনাল গার্ডের প্রায় ৫০০ সেনাকে অভিবাসন কার্যক্রমে এজেন্টদের সহায়তার জন্য প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন এক সেনা কর্মকর্তা। মেরিন সেনারাও এতে অংশ নিয়েছেন বলে জানানো হয়।
বিডি/ও