লিবিয়া থেকে ফিরেছেন আরও ১৫৮ বাংলাদেশি

Published : ১৫:০৯, ১৭ জুন ২০২৫
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ত্রিপোলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় ১৫৮ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি অভিবাসী লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকাল পৌনে ৬টায় লিবিয়ার ত্রিপোলির তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার থেকে বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে তারা ঢাকায় পৌঁছান।
প্রত্যাবাসনকৃত এসব বাংলাদেশি নাগরিককে অবতরণের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। দেশে ফেরত আসার পর এই ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়ায় না যায় এ বিষয়ে তাদের সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা।
এর আগে লিবিয়ার অভিবাসন অধিদপ্তরের অভ্যর্থনা হলে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ও মিনিস্টার (রাজনৈতিক) কাজী আসিফ আহমেদের নেতৃত্বে দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের বিদায় জানান।
এ সময় দূতাবাসের প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যাবাসনের আগে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে দূতাবাসের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। একই সঙ্গে তিনি ভবিষ্যতে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে বিদেশ গমন করার জন্য তাদের উৎসাহিত করেন।
দূতাবাস জানায়, প্রতিনিধিদল ইতোপূর্বে তাজুরা ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং আইওএম-এর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের বিনা খরচে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
বিডি/ও