রংপুরে ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যা বাড়ছে

Published : ২৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
রংপুরে ভূমিহীন কৃষকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সেই সাথে কমছে আবাদি জমি। কমছে বড় কৃষকের সংখ্যা। প্রায় ৬ লক্ষ কৃষকের মধ্যে জেলায় মাত্র ৬ হাজার বড় কৃষক রয়েছে।
বড় কৃষক কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে অনেকেই জমি বিক্রি করে শহরমুখী হচ্ছে। আবার মাঝারি কৃষকরা আর্থিকভাবে এগিয়ে যাওয়ায় তারা বড় কৃষকদের কাছ থেকে জমি ক্রয় করছেন।
এছাড়া আরও কিছু কারণে বড় বড় কৃষকের সংখ্যা কমে যাচ্ছ। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, রংপুরের আট উপজেলায় মোট কৃষক পরিবার প্রায় ৬ লক্ষ। ভূমিহীন কৃষক পরিবার রয়েছে ৯৫ হাজার ১৪০ জন।
৫ বছর আগেও ভূমিহীন কৃষক ছিল ৯০ হাজারেরও কম। প্রান্তিক কৃষক ২ লক্ষ ৪৪৯০ জন। ক্ষুদ্র কৃষক ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৬৭৩ জন। মাঝারি কৃষক ৫০ হাজার ৭৫৪ জন। বড় কৃষক ৬০৭৪ জন।
অথচ কয়েক বছর আগের বড় কৃষকের সংখ্যা ছিল ১০ হাজারের অধিক। জেলায় এক ফসলি জমি রয়েছে ৮ হাজার ৭৭৩ হেক্টর, দুই ফসলি ৮৭ হাজার ৪৭২ হেক্টর, তিন ফসলি ৯২ হাজার ৮৩২ হেক্টর, চার ফসলি ৮ হাজার ৯৬০ হেক্টর। নীট ফসলি জমি রয়েছে ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৩৩ হেক্টর। ৫ বছর আগে জেলায় আবাদি জমির পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ ১৪৯১ হেক্টর।
বর্তমান জমির পরিমাণ কমে এসে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৯৮ হাজার ৭ হেক্টরে। ৫ বছর আগে জেলার জনসংখ্যা ছিল ৩০ লক্ষ ৭২ হাজার ১০৬ জন। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ লক্ষ ২৬ হাজার ২৮৯ জন। উৎপাদন ছিল ১০ লক্ষ ৭১ হাজার ৫৩৯ মেট্রিকটন। বার্ষিক চাহিদা ছিল ৫ লক্ষ ৪৫ হাজার ৯০৪ মেট্রিক টন। চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য শস্য উদ্বৃত্ত ছিল ৪ লক্ষ ১৫৫০ টন।
৫ বছর পরে চাহিদা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৭৩ হাজার ৪৯৮ টন। উৎপাদন কিছুটা বেড়ে হয়েছে ১১ লক্ষ ৪৭৭৮ টন। উদ্বৃত্ত ৪ লক্ষ ৪৩৩৫ মেট্রিকটন। চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন তেমন একটা বাড়েনি। এছাড়া উদ্বৃত্ত ফসল আনুপাতিক হারে তেমন একটা বাড়েনি। এক সময় রংপুরের উদ্বৃত্ত ফসল দিয়ে দেশের অন্যান্য জেলার
চাহিদা মেটানো হতো। বর্তমানে যে ফসল উৎপাদন হয় তা দিয়ে জেলার ৩২ লক্ষ মানুষের চাহিদা মিটলেও প্রতি বছরই আবাদি জমির পরিমাণ কমছে।
রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বড় কৃষকদের অনেকেই শহরমুখী হচ্ছে। এছাড়া মাঝারি কৃষকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বড় কৃষক কমছে।
বিডি/ও