উলিপুরে পৌর কর্মীকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ

Published : ০০:৩৯, ২১ জুন ২০২৫
কুড়িগ্রামের উলিপুর পৌরসভা এলাকায় বিল্ডিং কোড অমান্য করে নিয়মবহির্ভূতভাবে বহুতল ভবন নির্মাণের সময় আপত্তি জানাতে গেলে পৌরসভার কার্য-সহকারী গোলাম মোস্তফাকে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত গোলাম মোস্তফা বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিকালে উলিপুর পৌরসভার রামধাস ধনিরাম নুরপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পৌরসভার সহকারী কর নির্ধারক রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে উলিপুর থানায় অভিযোগ করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার রামধাস ধনিরাম নুরপুর এলাকার আব্দুল আজিজের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) পৌরসভার বিল্ডিং কোড না মেনে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে আসছিলেন। নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ করায় প্রতিবেশী ইউনুস আলীর ছেলে বজরা এলকে আমিন স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক মমিনুল ইসলাম প্লাবন এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে পৌর প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
বৃহস্পতিবার পৌর প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক অফিসের কার্য-সহকারী গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিল্ডিং কোড অমান্য করে ভবন নির্মাণের বিষয়ে জানতে চান। এ সময় সাইফুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে গোলাম মোস্তফাকে কিলঘুসি মেরে নির্মাণাধীন ভবনের একতলা ছাদ থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন। পরে স্থানীয়রা ও তার সাথে থাকা সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
এ বিষয়ে বিল্ডিং নির্মাণকারী সাইফুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই ভবনের কাজ চলমান রয়েছে। পূর্বেও একাধিকবার পৌরসভার লোকজন এসে দেখে গেছেন। আজ পৌরসভার গোলাম মোস্তফা নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ হচ্ছে বলে আপত্তি করেন। এ সময় তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তিনি পা পিছলে নিচে পড়ে যান। তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনাটি সঠিক নয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মেহেরুল ইসলাম জানান, গোলাম মোস্তফা নামের ওই ব্যক্তির দাঁতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, অভিযোগের আলোকে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা জানান, পৌর কর্মচারীকে মারপিট করে আহত করার ঘটনায় থানায় মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।
বিডি/ও