মায়ামির ইতিহাস লিখলেন মেসি বাঁ পায়ের ‘তুলি’তে

পর্তুগিজ ক্লাবটি বল দখল এবং সুযোগ তৈরিতেও এগিয়ে ছিল মায়ামির চেয়ে। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগানোয় তাদের পেছনে ফেলেছে মায়ামি। প্রথমার্ধে অবশ্য এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পোর্তো। আটলান্টার মার্সিডিজ–বেঞ্জ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলে এগিয়ে যায় পোর্তো।

বক্সের বাইরে মেসি ফাউলের শিকারের হওয়ার পরই ফ্রি–কিকটি পেয়েছিল মায়ামি। সে সুযোগ কাজে লাগাতে ভুল করেননি মেসি।

কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ৪৭ থেকে ৫৪ মিনিটের মধ্যে বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। সরাসরি ফ্রি–কিক থেকে আর্জেন্টাইন মহাতারকার ক্যারিয়ারে ৬৮তম এই গোলই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়। সরাসরি ফ্রি–কিক থেকে গোলে মেসির চেয়ে এগিয়ে শুধু দুজন ব্রাজিলিয়ান—জুনিনিও (৭৭) ও পেলে (৭০)। ৪৭ মিনিটে তেলেসকো সেগোভিয়ার গোলে সমতায় ফেরে মায়ামি। ৭ মিনিট পর জাদুকরি এক মুহূর্ত উপহার দেন মেসি। দুর্দান্ত এক শটে টপ রাইট কর্নার দিয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। পাশাপাশি এটি মায়ামির হয়ে মেসির ৫০তম গোলও বটে। গোলের ফিফটি পূরণ করতে মেসির লেগেছে ৬১ ম্যাচ।

দলের জয় নিয়ে ম্যাচ শেষে মেসি বলেছেন, ‘পুরো দল বেশ পরিশ্রম করেছে। আমরা শুধু ভালোভাবে রক্ষণই করিনি, বলের নিয়ন্ত্রণও করেছি চমৎকারভাবে। প্রথম ম্যাচের পর আমাদের মধ্যে একধরনের অতৃপ্তি ছিল। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়। আমাদের উচিত এটি উপভোগ করা।’