জয়া আহসানের দ্বৈত চমক: ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’–এ মাতালেন দর্শকদের

জয়া আহসানের দ্বৈত চমক: ‘তাণ্ডব’ ও ‘উৎসব’–এ মাতালেন দর্শকদের

TheBusinessDaily

Published : ০৩:২৬, ২৩ জুন ২০২৫

জয়ার ভাষায়:ঈদের দিন থেকেই সিনেমাটি দেখার জন্য দর্শকের বিশাল ভিড়। তাণ্ডবের জন্য মানুষ একেবারে ক্রেজি। আমি নিজেও দর্শকের সঙ্গে দেখে বুঝেছিসিনেমাটি সত্যিই পয়সা উসুল।যেভাবে শিস বাজাচ্ছেন, হাততালি দিচ্ছেন, সেটাতেই বলে দেয় তাণ্ডব মানুষের কতটা ভালোবাসা পাচ্ছে।

জয়া আরও বলেন, ‘তাণ্ডব সিনেমার মূল হলো গল্প। আমাদের টিমটাও দুর্দান্ত ছিল। পর্দার সামনে পেছনে সবাই অনেক চেষ্টা করেছেন। আমার মনে হয় সিনেমাটি সবাই ভালোবাসবেন। আমরা নিজেরাও অনেক আনন্দ নিয়ে কাজটি করেছি। এরইমধ্যে অনেক ফিডব্যাক পাচ্ছি।

 

তাও একসঙ্গে দুটি সিনেমা নিয়ে। একটি রায়হান রাফীর পরিচালনায় নির্মিত অ্যাকশনধর্মী ছবিতাণ্ডব’, আরেকটি তানিম নূরের ভিন্নধর্মী সিনেমাউৎসব ঈদের দিন থেকেই তিনি ছুটছেন এক প্রেক্ষাগৃহ থেকে আরেকটিতে, দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা উপভোগ করছেন, প্রতিক্রিয়া দেখছেন, কথা বলছেন।

তাণ্ডবসিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রেক্ষাগৃহে১৩৩টি হলে। মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি দর্শকমহলে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন হল বিশেষ করে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে সিনেমাটির শো হচ্ছে হাউসফুল। স্টার সিনেপ্লেক্সেতাণ্ডবদেখার জন্য অগ্রিম টিকিটও আর সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। সিনেমাটির কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন জয়া আহসান শাকিব খান। দীর্ঘ ১২ বছর পর তাঁরা একসঙ্গে পর্দায় ফিরলেন এই সিনেমায়। জয়া এখানে অভিনয় করেছেন একজন সাহসী, স্পষ্টভাষী সাংবাদিকের ভূমিকায়। সমাজের অন্যায়, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলা একজন প্রতিবাদী নারীর চরিত্রে জয়াকে বেশ বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে।

অন্যদিকেউৎসবসিনেমাটি মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেলেও দর্শকদের আগ্রহের কারণে এর শো সংখ্যা ক্রমশ বেড়েছে। শুরুতে সীমিত সংখ্যক শো থাকলেও এখন প্রতিদিন চলছে ১৩টি করে প্রদর্শনী।উৎসবএক ধরনের পারিবারিক সম্পর্ক সামাজিক দ্বন্দ্ব নিয়ে নির্মিত ছবি, যেখানে জয়া আহসান তার সংবেদনশীল অভিনয়ের মাধ্যমে গল্পকে গভীরতা দিয়েছেন।

জয়া আহসান বলেন, ঈদের সময় যখন কোনো সিনেমা মুক্তি পায়, তখন সেই ঈদটা সিনেমার ঘিরেই কেটে যায়। তিনি জানান, ‘তাণ্ডবমুক্তির পর সকাল থেকেই তিনি খোঁজখবর রাখছিলেন, কেমন চলছে, দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন। তিনি নিজে সিনেমা হলে বসে দর্শকদের সঙ্গে সিনেমা দেখেছেন। জয়ার ভাষায়, “আমি নিজেও অবাক হয়েছি। দর্শকরা হাততালি দিচ্ছে, শিস দিচ্ছে। পুরো সিনেমা হলে একটা উৎসবের পরিবেশ। আমি মনে করি, এটা আমাদের সিনেমার জন্য বড় পাওয়া।

এই দুই সিনেমার মাধ্যমে জয়া আহসান আবারও প্রমাণ করলেন যে তিনি বৈচিত্র্যময় চরিত্রে পারদর্শী এবং এখনো দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। ঈদের মতো বড় উৎসবে তার এমন উপস্থিতি দেশের চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য যেমন ইতিবাচক, তেমনি দর্শকদের জন্যও আনন্দের।

 

 

শেয়ার করুনঃ
Advertisement