প্রথা ভেঙে ভ্যাটিকানের বাইরে পোপ ফ্রান্সিস সমাহিত

Published : ০৮:৪৫, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
ভ্যাটিক্যান সিটির প্রথার বাইরে জীবদ্দশায় পোপ ফ্রান্সিস অনেক কাজ করেছেন। আলোচিত এই পোপ নিজের সমাধির বিষয়েও প্রথাবিরোধী রয়ে গেলেন। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী, ১০০ বছরের বেশি সময় পর ভ্যাটিকানের বাইরে কোনো পোপকে সমাহিত করা হলো। গতকাল শনিবার ইতালির রোমের সান্তা মারিয়া ম্যাগিওর গির্জায় শেষ শয্যা হলো তাঁর। পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরাসহ প্রায় চার লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন।
গতকাল রোমের স্থানীয় সময় সকাল ১০টার (বাংলাদেশ সময় বেলা দুইটা) দিকে ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স চত্বরে ফ্রান্সিসের কফিন আনা হয়। এর মধ্য দিয়ে পোপের বিদায়ের ৯ দিনের শোককাল শুরু হলো, যা ‘নভেমডায়েলস’ নামে পরিচিত। বাকি ৮ দিন সকালে ফ্রান্সিসের স্মরণে একটি করে সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স চত্বরে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ ৫০টির বেশি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানেরা অংশ নেন। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন। তিনি গত শুক্রবার ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকায় গিয়ে প্রয়াত পোপের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ট্রাম্পসহ বিদেশি অতিথিদের অনেকে গতকালই রোম ত্যাগ করেছেন।
পোপ ফ্রান্সিস ২১ এপ্রিল ৮৮ বছর বয়সে মারা যান। পরদিন একটি উন্মুক্ত কফিনে পোপের মরদেহ ভ্যাটিকান সিটির কাসা সান্তা মার্তার চ্যাপেলে রাখা হয়। বুধবার সকাল ৯টায় পোপের মরদেহ সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকা গির্জায় নেওয়া হয়। গতকাল সিটির সেন্ট পিটার্স চত্বরে নেওয়ার আগপর্যন্ত তাঁর মরদেহ সেখানে ছিল।
‘গরিবের বন্ধু’ হিসেবে পরিচিত এই পোপকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে ভ্যাটিকানের সড়ক, চত্বরে বিপুলসংখ্যক মানুষ জড়ো হন। ভ্যাটিকানে গত কয়েক দিনে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ ফ্রান্সিসকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। গতকাল শুধু পিটার্স চত্বরেই শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ। সূত্র: বিবিসি ও রয়টার্স।
এনই