গাজার উদ্দেশে সড়কপথে ১৫০০ অধিকারকর্মী

Published : ১৩:৩১, ১২ জুন ২০২৫
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অবরোধ ভাঙতে এবার সড়কপথে উপত্যকাটি অভিমুখে রওনা দিয়েছেন শত শত অধিকারকর্মী। তারা তিউনিশিয়ার রাজধানী তিউনিশ থেকে রওনা দিয়ে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে পৌঁছেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই দলটিতে কমপক্ষে ১৫০০ লোক রয়েছে। তারা আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, ও তিউনিশিয়ার। লিবিয়া থেকে আরও লোক যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
‘অবিচলিত’ নামের এই বহরটিতে শতাধিক গাড়ি এবং কয়েক ডজন বাস রয়েছে। বহরটি এখন লিবিয়ার জাউইয়া শহরে পৌঁছেছে। তারা সেখান থেকে মিশরের কায়রোতে যাওয়ার চেষ্টা করবেন। সেখান থেকে যাবেন গাজা সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিংয়ে।
লিবিয়ার ত্রিপোলিতে বহরটি পৌঁছানোর পর তাদের অভিবাদন জানান হাজার হাজার মানুষ। এছাড়া বহরের গাড়িগুলোকে নিরাপত্তা দেয় সেখানকার পুলিশ।
এই বহরটিতে থাকা আলজেরিয়ার জামিলা শরিতাহ মঙ্গলবার বলেন, তিউনিশিয়া এবং লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ বহরটিতে থাকা লোকজনকে সহযোগিতা করছে। বহরে থাকা আরেকজন জায়েদ আল-হামামি বলেন, এই কনভয়ের লক্ষ্য রাফা ক্রসিং পুনরায় চালু করা এবং গাজা উপত্যকায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা।
এপি বলছে, বুধবার রাত পর্যন্ত বহরটিতে থাকা লোকজন মিশরে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন কিনা স্পষ্ট নয়। মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজা সংলগ্ন সীমান্ত এলাকায় আরিশ শহর এবং রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং রয়েছে। সেখানে যাওয়ার আগে যেকোনো বিদেশি প্রতিনিধিদলকে অনুমতি নিতে হবে।
এদিকে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেছেন, বহরটিকে গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কারণ এতে তাদের সেনারা ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। বহরটির যাত্রা আটকাতে মিশরকে আহ্বান জানিয়েছে ইসরাইল।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি) পরিচালিত ম্যাডলিনা জাহাজে পরিবেশবাদী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১২ অধিকারকর্মী ফিলিস্তিনের গাজার ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ নিয়ে ইতালি থেকে রওনা করেছিল।
কিন্তু গত সোমবার (৯ জুন) জাহাজটি আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমা থেকে দখলে নিয়ে নেয় ইসরায়েলি বাহিনী। পরে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে ৪ জনকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকিরা এখনো ইসরায়েলে রয়েছে।
বিডি/ও