ইসরায়েলি হামলা: ইরানে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানসহ শীর্ষ ৫ কর্মকর্তা নিহত

আজ স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করেছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের সামরিক বাহিনীর প্রধান, রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অপারেশন রাইসিং লায়ন’ নামে ইরানে হামলা করে ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, ইরানের পারমানবিক কর্মসূচিকে ব্যর্থ করে দিতে এই হামলা করা হয়।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থার তথ্যমতে নিহত ৫ জন হলেন-

১. হোসাইন সালামি নিহত হয়েছেন। তিনি ইরানের ইসলামি রেভল্যুশনারি গার্ডের কমান্ডার ইন চিফ।
২. গোলাম আলী রাশিদ, তিনি খাতাম-আল আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার।
৩. ফারেদুন আব্বাসি, পরমাণু বিজ্ঞানী। তিনি ২৫ বছর ধরে দেশটির পারমাণবিক শক্তিবিষয়ক সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৪. মেহেদি তেহরানচি, পরমাণু বিজ্ঞানী। তিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। 
৫. জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি। তিনি ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান।

আজ ভোরে ইরানে ৫ ধাপে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অজ্ঞাত এক সামরিক কমকর্তা টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, ইরানে শত শত হামলা চালানো হয়েছে এবং অন্তত ৮টি স্থানে (শহরে) লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে পাওয়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের ৬টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে।

আর ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টায় অন্তত দুটি ধাপে হামলা চালানো হয়। তবে নিশ্চিত না হলেও এখন তৃতীয় দফার হামলা চলমান থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

যেসব স্থানে হামলার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে- রাজধানী তেহরান ও এর আশপাশের সামরিক স্থাপনা; তেহরানের দক্ষিণে নাতানজ শহর, যেখানে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র অবস্থিত; তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে তাবরিজ শহর, যেখানে একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ও দুটি সামরিক ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে; তেহরানের দক্ষিণে ইস্পাহান শহর; তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে আরাক শহর ও পশ্চিমে কেরমানশাহ শহর।

ইরানের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, তেহরানজুড়ে ৬-৯টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। হামলা হয়েছে আবাসিক ভবনেও।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলের প্রাণঘাতী এসব হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে তেহরান।