ব্রাজিলের ৭ গোল খাওয়ার দিন আজ

ব্রাজিলের ৭ গোল খাওয়ার দিন আজ

স্পোর্টস ডেস্ক

Published : ১৪:৪৯, ৮ জুলাই ২০২৪

গতকালই উরুগুয়ের সঙ্গে হেরে কোপা থেকে বিদায় নিয়েছে ব্রাজিল। আজ থেকে ১০ বছর আগে ২০১৪ সালের এই দিনে মারাকানা স্টেডিয়ামে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত স্বাগতিক হিসেবে ‘হট ফেভারিট’ দলটি। 

সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ জার্মানি। ম্যাচের আগে সবাই ধরেই নিয়েছে জার্মানিকে হারিয়ে ফাইনালে যাবে ব্রাজিল। কে জানতো, সেই দিন ব্রাজিলের ইতিহাসের অন্যতম বিভীষিকাময় দিন হতে চলেছে।

দর্শকরা তখনও নিজেদের সিটে ভালোভাবে বসেননি জোয়াকিম লোর শিষ্যরা প্রথম থেকেই মরিয়া গোলের জন্য। ম্যাচের ১১ মিনিটে জার্মানির হয়ে প্রথম গোল করেন টমাস মুলার।

চোখের সামনেই হয়ে গেলো ৫টি গোল! তাও ম্যাচের ২৯ মিনিটের মধ্যে। জার্মানি ৫, ব্রাজিল ০! বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোনো সেমিফাইনালের প্রথমার্ধে ৫ গোল হয়নি। 

মিরোস্লাভ ক্লোসা দ্বিতীয় গোল করার পরই পাশের গ্যালারিতে গায়ে হলুদ জার্সি, গালে জাতীয় পতাকা আঁকা এক তরুণীকে দেখা যায় হাউমাউ করে কাঁদতে। পরের ৭ মিনিটের মধ্যে জার্মানি আরও ৩ গোল করে ফেলার পর সেই কান্নাছড়িয়ে পড়েছে গোটা মারাকানা স্টেডিয়ামে।

পাসিং ফুটবল দলগতভাবে কীভাবে খেলতে হয়, সেটাই যেন জার্মানরা শেখাচ্ছিল ব্রাজিলকে। বিশেষ করে, দ্বিতীয় গোলটি।

২৬ মিনিটে ব্রাজিলের ডিফেন্ডারের থেকে বল কেড়ে নিয়ে আক্রমণে জার্মানরা। গোলটি খুব সহজেই ৬ নম্বর জার্সির সামি কাদিরা করতে পারতেন। কিন্তু তিনি নিঃস্বার্থভাবে বলটি পাস দেন ক্রুসকে। বল পেয়ে ভুল করেননি ক্রুস।

জার্মানির সেই খেলোয়াড় ম্যাটস হামেলস পরে জানিয়েছিলেন, তারা ইচ্ছা করেই বিরতির পর আর কোনো জাদুকরী খেলা খেলতে চাননি। তারা শুধু চেয়েছিলেন ম্যাচটি শেষ করতে।

তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু চেয়েছি খেলায় মনোযোগী থাকতে। খেলার মধ্যে সেলেসাওদের কোনোভাবেই অপমান করতে চাইনি।

আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, খেলার মধ্যে সিরিয়াস থাকতে হবে। তবে ব্রাজিলকে অপমান করা হয়, এমন কিছু থেকে বিরত থাকব। খেলার মধ্যে জয়-পরাজয় থাকবে। তবে প্রতিপক্ষকে সম্মান দেখাতে হবে। আমরা সে কাজ করেছি। দ্বিতীয়ার্ধের পর আমরা কোনো জাদুকরি খেলা দেখাইনি।’

৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ম্যাচের স্কোর দাঁড়ায় ৭-১। খেলার শেষে জার্মানিরা সেলেসাওদের সান্ত্বনা দিয়েছিল। বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে জার্মানির জয়টি ছিল সর্বকালের সবচেয়ে বড় জয়।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement