অঢেল সম্পদের মালিক ‘ডিগবাজি নেতা’ কারাগারে

Published : ১৪:১৩, ২১ জুন ২০২৫
নানা রূপে রূপান্তরিত হয়ে অঢেল সম্পদের মালিক ডিগবাজি নেতা নামে পরিচিত উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য নুর মোহাম্মদ মন্ডল দুদকের মামলায় কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
তিনি এক সময় করতেন জাতীয় পার্টি। এ রাজনৈতিক দল থেকে দুবার নির্বাচিত হন সংসদ সদস্য। ৯০’র গণঅভ্যুত্থানে দলটির পতনের পর যোগ দেন বিএনপিতে। হন উপজেলা চেয়ারম্যান।
বিএনপির দুর্দিনে নিজের রূপ পরিবর্তনে দেরি করেননি তিনি। যোগ দেন আওয়ামী লীগে। ওই দলের সুবাদে আবারও নির্বাচিত হন উপজেলা চেয়ারম্যান। বারবার দল পরিবর্তনের জন্য স্থানীয়দের কাছে ‘ডিগবাজি’ নেতা হিসেবে পরিচিত নুর মোহাম্মদ মন্ডল।
ক্ষমতার দাপটে আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুদকের মামলায় গত বৃহস্পতিবার সাবেক এ সংসদ সদস্যকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৩ হাজার একর বনের জমিতে পিকনিক স্পট, ৮ ব্যাংক হিসাব ও ৯ কোটি টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রংপুরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির করা হয় নুর মোহাম্মদ মন্ডলকে। ওই সময় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করেন। তবে জামিন না মঞ্জুর করে বিচারক ফজলে খোদা মো. নাজির তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুদকের রংপুর সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক রুবেল হোসেন বলেন, নুর মোহাম্মদ মন্ডলের মালিকানাধীন
পীরগঞ্জে ৩১৩০.৭৩ একর জমির ওপর ‘আনন্দনগর’ নামে বিশাল পিকনিক স্পট ও বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। ক্ষমতার জোরে বন বিভাগের জমি দখলে করে তিনি ওই বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলেন।
এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকে ৮টি হিসাবে তার বিপুল পরিমাণ টাকা গচ্ছিত আছে। তার নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক আইনে মামলা রয়েছে। ৩টি বড় রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নুর মোহাম্মদ গড়েছেন অঢেল অবৈধ সম্পদ। বন বিভাগের বিশাল জমি দখল করে তিনি গড়ে তুলেন বিনোদন পার্ক ও লেক।
তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় ২০২০ সালে মামলা করা হয়। এতে সম্পদের তথ্য গোপন এবং জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
বিডি/ও