ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করলো জার্মানি

Published : ১২:১৯, ২৮ মে ২০২৫
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, বার্লিন ইসরায়েলকে অস্ত্র রপ্তানি করবে না, যে অস্ত্র মানবিক আইন ভঙ্গ করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল এবং চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস গাজায় চলমান যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েলকে এবারই সবচেয়ে কড়া ভাষায় তিরষ্কার করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি জার্মানিও ২০২৩ সালে গাজায় যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে সমর্থন দিয়ে এসেছে। কিন্তু জার্মানি এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান জানান দিল, যখন গাজায় বেপরোয়া হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এ ঘটনায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের ইসরায়েল নীতি নতুন করে ভেবে দেখতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং কানাডাও গাজা নিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
সম্প্রচারমাধ্যম ডব্লিউডিআর-এ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির ঐতিহাসিক সমর্থনকে যেন লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার করা না হয়।
এর আগে জার্মানির চ্যান্সেলর মের্ৎস ফিনল্যান্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলার সমালোচনা করেছিলেন।
জার্মানির নেতারা যেখানে ইসরায়েলের জন্য বিশেষ দায়িত্ব পালনের নীতি অনুসরণ করে থাকেন, সেখানে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দেশটির চ্যান্সেলরের এই সুর তাৎপর্যপূর্ণ।
এর মধ্য দিয়ে জার্মানির জনগণের মতামতেরও একটি বিরাট পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটেছে। জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান বলেছেন, আমরা এখন এমন একটি জায়গায় আছি, যেখানে আমাদেরকে খুব সতর্কতার সঙ্গে ভাবতে হচ্ছে যে, কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়। আমরা যেখানেই ক্ষতি হওয়ার বিপদ দেখব, সেখানেই হস্তক্ষেপ করব। আর আরও ক্ষতি যাতে না হয়, সেজন্য আমরা নিশ্চিতভাবেই অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখব। সূত্র-রয়টার্স
বিডি/ও