বৃষ্টির দিনে যেসব সবজি খেতে সাবধান করছেন চিকিৎসক

Published : ১৩:৩৬, ২৯ মে ২০২৫
বর্ষাকাল শুরুর আগেই সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির দিনে অনেকেরই খাদ্যতালিকায় আসে নানান পরিবর্তন। বৃষ্টির দিনে মুখরোচক খাবার ভালো লাগলেই এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টা বাদ দেয়া যাবে না। কারণ এই আবহাওয়ায় সংক্রমণ এবং হজমজনিত সমস্যার প্রকোপ বেড়ে যায়।
চিকিৎসকরা বলছেন, বৃষ্টির দিনে খাবার নিয়ে সতর্ক না হলে ফুড পয়জনিং, ডায়রিয়া, টাইফয়েড বা গ্যাস্ট্রিকের মতো রোগ দেখা দিতে পারে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে চিকিৎসকরা সবজি খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশি সতর্ক হতে বলেছেন।
দেখে নেয়া যাক বৃষ্টিতে যেসব সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা:-
পাতা জাতীয় শাক: শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, আয়রন ও ভিটামিন। কিন্তু বর্ষায় এই শাকের পাতায় সহজেই ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়া জন্ম নিতে পারে। ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে তা হজমের সমস্যা ও বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে।
ফুলকপি, বাঁধাকপি ও ব্রকোলি: এই ৩টি সবজি সাধারণত শীতের হলেও এখন সারা বছরই বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু বর্ষাকালে আর্দ্রতার কারণে এদের গাঁটে ব্যাকটেরিয়া জমে। ভালোভাবে ধোয়া না হলে এগুলো থেকে ফুড পয়জন হতে পারে। মাটির নিচের সবজি: গাজর, মুলো, বিটরুট ইত্যাদি সবজি মাটির নিচে জন্মায় বলে বর্ষাকালে দ্রুত পচে যায়। এর গায়ে মাটি লেগে থাকা অবস্থায় রান্না করলে তা পেটে গিয়ে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
মাশরুম: এই ঋতুতে মাশরুমে সহজেই ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। বর্ষার আর্দ্রতা মাশরুমকে দ্রুত নষ্ট করে ফেলে। ফলে এটি খেলে পেটের অসুবিধা দেখা দিতে পারে।
অঙ্কুরিত ছোলা ও মুগ ডাল: অঙ্কুরিত ছোলা এবং ডাল স্বাস্থ্যকর হলেও বর্ষাকালে এগুলো ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ঝুঁকিতে থাকে। ই.কোলি, স্যালমনেলা জাতীয় জীবাণু এতে জন্ম নিয়ে পেট খারাপ করতে পারে।
মটরশুঁটি ও ভুট্টা: এই দুই সবজি বর্ষায় আর্দ্রতা ধরে রাখে বেশি। এতে সহজেই ছত্রাক বা ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়। ফলে এই সময়ে না খাওয়াই ভালো, আর খেলেও ভালভাবে সেদ্ধ করে নিতে হবে।
কাঁচা সবজি বা সালাদ: অনেকেই স্বাস্থ্যকর ভাবনা থেকে কাঁচা সবজি খান, কিন্তু বর্ষায় এটি বিপজ্জনক হতে পারে। ধোয়ার পরেও অনেক জীবাণু থেকে যেতে পারে, যা সরাসরি পাকস্থলীতে প্রবেশ করে রোগ সৃষ্টি করে।
সুস্থ থাকতে বর্ষার দিনে শুধু ছাতা বা রেইনকোট নয়, দরকার খাবার নিয়েও সচেতনতা। বিশেষ করে যেসব সবজিতে সহজেই ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে, সেগুলো এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।
বিডি/ও