১৫ লাখের বেশি বিদেশি হজযাত্রী এখন সৌদিতে

১৫ লাখের বেশি বিদেশি হজযাত্রী এখন সৌদিতে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

Published : ১৮:১৩, ৫ জুন ২০২৫

আজ পবিত্র হজ। ইহরাম পরিহিত লাখো হজযাত্রীর পদচারণায় এরই মধ্যে মুখর হয়ে উঠেছে পুণ্যভূমি মক্কা। তাদের সমবেত কণ্ঠে  ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হচ্ছে এখন গোটা মিনা উপত্যকা। এ বছর হিজরি ১৪৪৬ সনের হজ পালিত হচ্ছে। 

বৃহস্পতিবার (৯ জিলহজ) ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে হজযাত্রীরা হজের প্রধান রোকন- আরাফায় অবস্থান করেন। এর আগে তারা মিনায় রাত কাটিয়েছেন, মিনায় অবস্থানের মাধ্যমেই শুরু হয়েছিল হজের আনুষ্ঠানিকতা। 

সৌদি কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ হজযাত্রী বিদেশ থেকে হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।

সৌদি কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি কর্মী নিয়োজিত করেছে এবং ৪০টিরও বেশি সরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির হজমন্ত্রী তৌফিক রাবিয়া।

এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ৫০ হাজার বর্গমিটার অতিরিক্ত ছায়াযুক্ত জায়গা তৈরি, হাজার হাজার চিকিৎসা কর্মীর মোতায়েন এবং ৪০০টির বেশি শীতলীকরণ ইউনিটের ব্যবস্থা।

বার্তা সংস্থা আনাদোলুর তথ্য অনুযায়ী, গত হিজরি বছর (১৪৪৫ হিজরি / ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে) হজযাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ১৬৪ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ২১ হাজার ৮৫৪ জন ছিলেন সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হজযাত্রী। 

হজমন্ত্রী জানান, ওই বছর হজে অংশ নিয়েছিলেন বিশ্বের ২০০টিরও বেশি দেশের মানুষ।

এ বছর ১২ বছরের নিচের শিশুদের হজে অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে এবং যেসব হজযাত্রী অনুমতিপত্র ছাড়া হজ পালনের চেষ্টা করবেন, তাদেরকে ৫ হাজার ডলার (৩,৬৮৫ পাউন্ড) জরিমানা ও ১০ বছরের জন্য সৌদি আরবে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, গত বছর যাদের মৃত্যু হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ছিলেন অবৈধ বা নিবন্ধনবিহীন। ফলে যখন তাপমাত্রা ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় তখন তারা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আবাসন, পরিবহণ এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। মৃতদের মধ্যে শত শত মিশরীয় ও ইন্দোনেশীয়ও ছিলেন।

হজ ইসলাম ধর্মের পাঁচটি স্তম্ভের একটি এবং এটি হিজরি চন্দ্রপঞ্জিকার ১২তম মাসে অনুষ্ঠিত হয়। প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিমের জন্য শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকলে জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ। হজের প্রথম দিনে পুরুষ হজযাত্রীরা নিজেদের পোশাক বদলে সাদা দুই টুকরা কাপড় (ইহরাম) পরে ইহরামের অবস্থায় প্রবেশ করেন। নারীরা শালীন পোশাক পরিধান করে মাথা ঢেকে নেন।

এরপর হজযাত্রীরা ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা শরিফ ঘিরে তাওয়াফ (তিনবার চক্কর) দেন। পাশাপাশি তারা সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মাঝে সাতবার হাঁটেন, যাকে সাঈ বলা হয়।

পরে তারা মক্কা থেকে ৫ কিলোমিটার দূরের মিনায় গমন করেন, যেখানে তাঁবুর শহরে তারা রাত কাটান। বৃহস্পতিবার তারা আরাফার ময়দানে যাবেন, যেখানে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার বিদায় হজের খুতবা দিয়েছিলেন।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement