নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ, গাজা যুদ্ধ বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প

Published : ০১:১৭, ১২ জুন ২০২৫
ইরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে চলমান আলোচনার মধ্যে গত ৯ জুন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ফোনালাপের এক পর্যায়ে ট্রাম্প উত্তেজিত হয়ে নেতানিয়াহুকে গাজা উপত্যকায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ইসরায়েলি টেলিভিশনের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প নেতানিয়াহুর সঙ্গে ৪০ মিনিট কথা বলেন। এসময় ট্রাম্প নেতানিয়াহুকে বলেছেন, গাজায় বর্তমানে ৬০ দিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পর্যাপ্ত হবে না।
যদিও নেতানিয়াহু এ পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে রাজি হননি। তিনি ও তার জোট সরকার বলে আসছে হামাসকে গাজা থেকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত তারা যুদ্ধ থামাবে না।
টাইমস অব ইসরায়েল বলছে, ট্রাম্প সোমবারের ফোনে নেতানিয়াহুকে বলেন, গাজায় যুদ্ধ বন্ধ হলে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক আলোচনা এবং ইসরাইলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নেতানিয়াহুকে এখন ইরানে হামলা না চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়ার মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক চুক্তি করতে চায়।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, পারমাণবিক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখান করে পাল্টা প্রস্তাব দিতে যাচ্ছে ইরান। ওমানের মাধ্যমে হোয়াইট হাউসে একটি যুক্তিসঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ প্রস্তাবনা পাঠানোর কথা জানিয়েছে দেশটি। ইরানের এই পদক্ষেপের বিষয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ইরান পারমাণবিক আলোচনায় ‘অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল-১২ জানিয়েছে, ট্রাম্প যতক্ষণ পর্যন্ত মনে না করবেন যে ইরানের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে ততক্ষণ ইরানে হামলার ব্যাপারে কোনো প্রস্তুতি নেয়া হবে না।
দুটি সূত্র সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, নেতানিয়াহু ট্রাম্পের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ইরানে তারা একাই হামলা চালাবে কিনা বা হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র এতে নেতৃত্ব দেবে কিনা। তবে ট্রাম্পের কাছ থেকে এ প্রশ্নের স্পষ্ট কোনো উত্তর পাননি নেতানিয়াহু।
বিডি/ও