দ্বীন প্রতিষ্ঠায় আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জামায়াতের

Published : ১৫:৪৯, ১৬ জুন ২০২৫
দ্বীনকে বিজয়ী আদর্শ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলসহ সকল স্তরের জনশক্তিকে ময়দানে সক্রিয় ও আপোষহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
রোববার (১৫ জুন) রাত ৮টায় রাজধানী মিরপুর-১৩-এর ৪ নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত এক ওয়ার্ড ও থানা দায়িত্বশীল সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, মূলত ৫ আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীন হয়েছে। এ আন্দোলনে ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা ছাত্র-জনতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করে সর্বস্তরের মানুষের অন্তরে মজবুত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী আমলে জামায়াতে ইসলামীসহ দেশের ইসলামী শক্তিই সবচেয়ে বেশি জুলুম-নির্যাতন, হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের শিকার হয়েছে।
তাই দ্বিতীয় স্বাধীনতাত্তোর সময়ে জামায়াতের ওপর জনপ্রত্যাশা বহুগুণে বেড়েছে। জনগণ জামায়াত নেতৃত্বের উপর আস্থা রেখে দেশকে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখছে। জনগণ দেশে গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইন ও সাংবিধানিক শাসন, ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জামায়াতকেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও বিকল্প শক্তি মনে করছেন। তাই দেশের মানুষের আবেগ-অনুভূতি ও জনপ্রত্যাশাকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেই ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ইসলামী আন্দোলনের দায়িত্বশীলদের যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকতে হবে।
তিনি বলেন, দাওয়াত ও তাবলীগ দ্বীন বিজয়ের পূর্বশর্ত। তাই আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে ইসলামী আন্দোলনের সকল স্তরের নেতাকর্মীকে দাঈ ইলাল্লাহর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ইসলামের সুমহান আদর্শ ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে যেসব বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার রয়েছে সে সবের বিজ্ঞচিত ও যথোপযুক্ত জবাব দেওয়ার জন্য সকলকে অধ্যবসায়ি ও সমসাময়িক বিষয়ের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। নিজেদের অযোগ্যতা ও উদাসীনতার জন্য যাতে ইসলামী আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও যত্মবান হওয়া দরকার। আর দাওয়াত সম্প্রসারণ করতে হবে প্রত্যেক ঘরে ঘরে। তাহলেই ইসলামের বিজয় অনিবার্য হয়ে উঠবে।
মহানগরী আমীর বলেন, দেশে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আবশ্যকতা দেখা দিয়েছে। সে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার জরুরি সংস্কার কাজ শুরু করেছে।
আমরা আশা করছি, দ্রুতই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর কাক্সিক্ষত সংস্কার, গণহত্যাকারীদের বিচার দৃশ্যমান হওয়ার পর পুরোজাতি নির্বাচনী উৎসবে মেতে উঠবে এবং জনগণ পছন্দমত তাদের নেতা নির্বাচনের সুযোগ পাবেন। তিনি দেশে ন্যায়-ইনসাফের সমাজ ও আল্লাহর জমীনে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠায় আসন্ন নির্বাচনে ইনসাফের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহবান জানান। তাহলেই দেশ অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ।
বিডি/ও