ফুলছড়িতে দুই দিনে প্রায় ৬ কোটি টাকার শুকনো মরিচ বিক্রি

ফুলছড়িতে দুই দিনে প্রায় ৬ কোটি টাকার শুকনো মরিচ বিক্রি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

Published : ২০:৩২, ১৫ মে ২০২৫

গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে উৎপাদিত লাল শুকনো মরিচ দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পূরণ করছে। ফুলছড়ি হাটে সপ্তাহে দুই দিন শনিবার ও মঙ্গলবারে হয় ৬ কোটি টাকার মরিচ বেচাকেনা।

ফুলছড়ি হাট এখন দেশের অন্যতম বৃহত্তম শুকনো মরিচের বাজার হিসেবে পরিচিত। জানা যায়, ফুলছড়ি উপজেলার টেংরাকান্দি, মোল্লারচর, খোলাবাড়ি, ফজলুপুর, উড়িয়া, এরেন্ডবাড়ির চর ছাড়াও সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলারসহ পাশ্ববর্তী জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ ও বকশিগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল থেকে নৌকা ও ঘোড়ার গাড়িতে করে মরিচ নিয়ে আসে কৃষক ও পাইকাররা। 

হাটে মরিচ উঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় হাঁকডাক আর ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যস্ততা। প্রতিটি হাটে প্রায় ৩ হাজার মণ শুকনো মরিচ বিক্রি হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা।

কৃষকরা বলেন, এলাকার মাটি ও আবহাওয়ার উপযোগীতা থাকায় কম সারে বেশি ফলন হয়। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পলিমাটিতে বীজ ছিটিয়ে কিছু পরিচর্যাতেই বিঘা প্রতি ১০-১২ মণ মরিচ উৎপাদন সম্ভব হয়। চরের মাটির গুণে মরিচের রং উজ্জ্বল ও আকার বড় হয়। ফলে এই মরিচের কদর বেশি। 

প্রতি মণ শুকনো মরিচ ৯,০০০ থেকে ৯,৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় ৪-৫ হাজার টাকা কম। বগুড়া, নওগাঁ, দিনাজপুর, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এই হাটে এসে মরিচ ক্রয় করছেন। স্কয়ার, প্রাণসহ ভিভিন্ন শিল্পগ্রæপের প্রতিনিধিরাও নিয়মিত এই হাট থেকে মরিচ সংগ্রহ করছে। 

তবে হাটে অবকাঠামোগত কিছু সমস্যা রয়েছে বলে জানান পাইকাররা। নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ওয়াশরুম, ও আবাসনের সুবিধা না থাকায় রাতে এসে থাকতে সমস্যায় পড়তে হয়। এসব সমস্যা সমাধান হলে ঐতিহ্যবাহী মরিচের হাটে আরও পাইকার আসবেন, মরিচের বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement