দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখোমুখি গাজাবাসী: জাতিসংঘ মহাসচিব

Published : ১২:৩২, ২৪ মে ২০২৫
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার পুরো জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখোমুখি বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
শুক্রবার (২৩ মে) গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ তথ্য জানান।
গাজা এখন ইসরায়েলি যুদ্ধের ‘সবচেয়ে নিষ্ঠুর পর্ব’ পার করছে বলে মন্তব্য করে গুতেরেস বলেন, ইসরায়েল যে মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছে, তা ‘এক চামচের সমান’ এবং সহায়তা পৌঁছাতে ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করছে।
তিনি বলেন, গাজার পুরো জনসংখ্যা দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখোমুখি। কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে প্রায় ৪০০ লরি গাজায় প্রবেশের জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু মাত্র ১১৫টি লরি থেকে ত্রাণ বিতরণের জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জাতিসংঘ কিছু গমের আটা, শিশুদের পুষ্টিকর খাবার এবং ওষুধ বিতরণ করতে পেরেছে। এছাড়া কিছু বেকারি দক্ষিণ এবং মধ্য গাজায় কাজ করছে।
গুতেরেস বলেন, আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে, আমরা একটি যুদ্ধক্ষেত্রের মাঝে কাজ করছি। এখন পর্যন্ত অনুমোদিত সব সাহায্য এক চা চামচের সমান। গাজার চার-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড বাসিন্দাদের চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ। দ্রুত সাহায্য না পৌঁছালে উপত্যকার আরও অনেক মানুষ মারা যাবে বলে তিনি সতর্ক করেন।
গাজার হাসপাতালগুলো এখন কার্যত বিপর্যস্ত। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোর ওপর ৭০০র বেশি হামলা হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, গত এক সপ্তাহে গাজার স্বাস্থ্যখাতের ওপর ইসরায়েলি হামলা প্রায় ৪০০ গুণ বাড়ানো হয়েছে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ৩৬টি হাসপাতালের মধ্যে চালু আছে মাত্র ১৯টি। এর মধ্যে পুরোপুরি কার্যকর মাত্র ১২টি। গত সপ্তাহে যুদ্ধের সরাসরি প্রভাবে ৪টি প্রধান হাসপাতাল বন্ধ হয়ে গেছে। যার মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, ইউরোপিয়ান গাজা, কামাল আদন ও হাম্মাদ হাসপাতাল।
বিডি/ও