আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র: ট্রাম্প

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

Published : ১৩:৩৯, ২৬ জুন ২০২৫

ইরানের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আলোচনায় বসবে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্য দিয়ে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে একটি চুক্তিও হতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ কথা বলেছেন। 

ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, ইরানের সঙ্গে এরপর কী হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগে ইরান পরমাণু সামগ্রী সরিয়ে ফেলতে পেরেছিল কি না।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, এগুলো সরানোর সময় ইরানের হাতে ছিল না। এগুলো খুবই ভারী। সরানো খুবই কঠিন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, যারা শান্তি চায় তাদের সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প।

আলোচনা আবার শুরু হবে কি না তা নির্ভর করবে ইরান এতে অংশ নিতে আগ্রহী কি না তার ওপর। এরপর ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে আগামী সপ্তাহেই তারা আলোচনা করতে যাচ্ছেন এবং তারা একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি না এটা প্রয়োজনীয়। তারা একটি যুদ্ধে ছিল, তারা লড়াই করেছে এবং এখন তারা নিজেদের জগতে ফিরে গেছে। কোনো সমঝোতা হলো কি না তা আমি কেয়ার করি না। আমরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছি।

ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে গিয়ে ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলার সঙ্গে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি শহরে পারমাণবিক বোমা হামলার তুলনা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

তার দাবি, ১৯৪৫-এ জাপানের ওই দুই শহরে পরমাণু বোমা হামলা যেভাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছিল, একইভাবে ইরানে সাম্প্রতিক মার্কিন হামলা ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ইরানের ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলা যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়েছে।

আমি হিরোশিমার উদাহরণ দিতে চাই না। আমি নাগাসাকির উদাহরণ দিতে চাই না। তবে দুই ক্ষেত্রেই মূলত একই ব্যাপার ঘটেছে। ওই হামলায় তখনকার যুদ্ধ বন্ধ হয়েছিল। আর এই (ইরান) হামলায় এখনকার যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। 

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র হামলা করার কারণেই যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে দাবি করে ট্রাম্প বলেন, আমরা যদি এটা (ইরানে মার্কিন হামলা) না করতাম, তা হলে তারা (ইরান ও ইসরায়েল) হয়ত এখনও যুদ্ধ চালিয়ে যেত।

ন্যাটো সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, শুধু ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক স্থাপনাই যুক্তরাষ্ট্রের হামলার একমাত্র লক্ষ্য ছিল না। আরো দুটি টার্গেট ছিল যেগুলো পুরোপুরি ধ্বংস হয়নি এবং সেগুলোতে শত শত মাইল দূরের সাবমেরিন থেকে হামলা করা হয়েছিল। এগুলো বিশ্বের গ্রেটেস্ট সাবমেরিন, এর ধারে কাছেও কেউ নেই। 

তিনি তার বক্তব্যের শুরুতেই ইরানে হামলার প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি দাবি করেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ‘ব্যাপক, সুনির্দিষ্ট হামলা’ হয়েছে। বিশ্বের আর কোনো সামরিক বাহিনী এটি করতে পারত না। এখন আমেরিকান শক্তির এই অসাধারণ চর্চা শান্তির পথ খুলে দিয়েছে। তারা ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন প্রতিরোধ করেছেন এবং একই সঙ্গে ‘আমেরিকান শক্তির বিশ্বাসযোগ্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছেন’।

তিনি ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিও পড়ে শোনান, যেখানে বলা হয়েছে ‘পারমাণবিক স্থাপনার মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে’।

কাতারে মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার প্রসঙ্গ টেনে ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, তেহরানকে এজন্য ‘সতর্ক’ করা হয়েছে। তিনি জানান, ওই ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে ইরানের ছোঁড়া ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্রের সবকটিই ভূপাতিত করা হয়েছে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement