ইয়েমেনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলি বিমানবন্দর বন্ধ

Published : ১৯:১৪, ৬ জুলাই ২০২৫
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনীর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগত ও প্রস্থানের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে এবং বিমানবন্দরটি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
রোববার (৬ জুলাই) ভোরে আরবভাষী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, হামলার পর ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলগুলো কার্যত আন্তর্জাতিক আকাশপথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ডেড সি এলাকার বিভিন্ন স্থানে বিমান হামলার সতর্কতা সংকেত (সাইরেন) বাজতে শুরু করে। তবে এ পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায়, হামলার সময় তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল এবং তারা হামলার প্রতিরোধে কাজ করেছে।
এই ঘটনার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ইয়েমেনি সেনাবাহিনী বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করে।
গত ১ জুলাই আল-মাসিরাহ টিভিতে প্রচারিত এক টেলিভিশন বিবৃতিতে ইয়েমেনের সামরিক মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি বলেন, ‘তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দর লক্ষ্য করে আমরা ‘ফিলিস্তিন-২’ নামের একটি হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে একটি বিশেষ সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছি।’
তিনি জানান, ওই হামলা সফলভাবে লক্ষ্যে পৌঁছেছিল, যার ফলে মিলিয়নখানেক দখলদার আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যায় এবং বিমানবন্দরের কার্যক্রমে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়।
সারি আরও জানান, একই সময় ইলাত, তেল আবিব এবং আশকেলন অঞ্চলের ৩টি সংবেদনশীল স্থানে একমুখী ড্রোন হামলা চালানো হয়।
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যামূলক যুদ্ধ তীব্রতর হওয়ায় ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী সমুদ্রপথে কৌশলগত অবরোধ আরোপ করেছে। এর মাধ্যমে তারা ইসরায়েলে সামরিক সরঞ্জাম পরিবহনে বাধা সৃষ্টি করতে চায় এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের দিকে নজর দিতে বাধ্য করছে।
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েল তাদের স্থল ও বিমান হামলা পুরোপুরি বন্ধ না করা পর্যন্ত এই ধরনের হামলা অব্যাহত থাকবে। সূত্র: প্রেসটিভি
বিডি/ও