ট্রাম্পকে ড্রোন দিয়ে হত্যার হুমকি ইরানের

ট্রাম্পকে ড্রোন দিয়ে হত্যার হুমকি ইরানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

Published : ১৫:৪৪, ১২ জুলাই ২০২৫

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের অবসান ঘটলেও উত্তেজনা প্রশমন পুরোপুরি হয়নি। যুদ্ধে প্রচণ্ড ঝুঁকিতে ছিল ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির জীবন। এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ড্রোন হামলার হুমকি দিলেন ইরানের এক শীর্ষ কর্মকর্তা।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা জাওয়াদ লারিজানি বলেছেন, ট্রাম্প এখন আর আগের মতো ফ্লোরিডার বিলাসবহুল বাসভবন মার-আ-লাগোয় নিশ্চিন্তে সূর্যস্নান করতে পারবেন না। ছাদে রোদ পোহানো অবস্থায় যে কোনো সময় একটি ছোট ড্রোন তার ওপর বিষ্ফোরিত হতে পারে। 

ইরানি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে জাওয়াদ লারিজানি এব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, ট্রাম্প এমন কিছু করেছেন- যার পরিণতিতে তিনি আর রোদে পেট উঁচিয়ে শুয়ে থাকতে পারবেন না। এমনকি একটি ছোট ড্রোন হয়তো তার নাভিতেই আঘাত হানতে পারে। বিষয়টি একেবারেই সহজ।

ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদেন বলা হয়, জাওয়াদ লারিজানি ইরানের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী একটি পরিবারের সদস্য এবং সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা। 

তার এই বক্তব্য এসেছে এমন সময়, যখন ‘ব্লাড প্যাক্ট’ নামের একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম আলোচনার কেন্দ্রে।

ব্লাড প্যাক্ট নামের ওই প্ল্যাটফর্মটি বলছে, তাদের উদ্দেশ্য ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির জীবন নিয়ে ব্যঙ্গ বা হুমকি দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়া। 

তারা ঘোষণা দিয়েছে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে একটি তহবিল গঠন করা হচ্ছে, যার পরিমাণ ১০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই চার কোটির বেশি ডলার সংগ্রহের দাবি করেছে তারা।

ওয়েবসাইটটির হোমপেজে লেখা রয়েছে, ‘যারা আল্লাহর শত্রু এবং সর্বোচ্চ নেতার জীবন হুমকির মুখে ফেলেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে যারা সক্ষম হবেন, তাদের জন্য পুরস্কার রয়েছে।’

ইরানের বিপ্লবী গার্ডসের ঘনিষ্ঠ সংবাদ সংস্থা ফার্স নিউজ এজেন্সি এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে দেশ-বিদেশের ইসলামি গোষ্ঠীগুলোকে পশ্চিমা দূতাবাস ও জনসমাগমস্থলে সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়েছে।

ইরানের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আলেম ও রাজনৈতিক নেতা ট্রাম্প ও ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসলামি শাস্তির বিধান মোহারেবেহ (আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধ) প্রয়োগের দাবি তুলেছেন।

ইরানি আইন অনুযায়ী, এই অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে ইরাকের বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের প্রভাবশালী জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই থেকে ইরানে তাকে হত্যার দাবিতে জনরোষ অব্যাহত।

মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, ওই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী একাধিকবার ট্রাম্পের ওপর হামলার পরিকল্পনা করেছে। 

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement