শিক্ষকের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা

Published : ১৮:৫৪, ৮ জুলাই ২০২৫
আসামের তিনসুকিয়া জেলায় শিক্ষকের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। ১৪ বছর বয়সী ওই ছাত্রী গত ৬ জুলাই নিজের জীবন বিসর্জন দেয়। এর আগে, জুন মাসে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল সে, কিন্তু তখন বেঁচে গিয়েছিল। পটভূমি: পরিবারের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে জানা যায়, গত মে মাসে অভিযুক্ত শিক্ষক ভিকু ছেত্রি ক্লাস শেষে স্কুলের রান্নাঘরে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মেয়েটিকে খাওয়ান। এরপরই তাকে যৌন নির্যাতন করেন। ওই সময় অন্য শিক্ষার্থীরা স্কুল ত্যাগ করেছিল। এ ঘটনার ধাক্কায় ৩ জুন সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়ে প্রাণে বেঁচে যায়। আইনি ব্যবস্থা ও দ্বিতীয় আত্মহত্যা: প্রথম আত্মহত্যার চেষ্টার পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং ১১ জুন ভিকু ছেত্রিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু তারপরে, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মেয়েটি ৬ জুলাই ফের আত্মহত্যা করে সুইসাইড নোট: চার পৃষ্ঠার একটি সুইসাইড নোটে মেয়েটি নিজের যন্ত্রণা ও মানসিক অবস্থা তুলে ধরে গেছে। সেখানে সে অভিযোগ করেছে, অভিযুক্ত শিক্ষককে রক্ষায় অন্য তিনজন শিক্ষক সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।প্রতিক্রিয়া: ঘটনার পর আসামজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এবং মানবাধিকার কর্মীরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।
BD/Sk