ড. ইউনূস ’পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’: নাহিদ ইসলাম

Published : ১০:২৫, ২৩ মে ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম জানান, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে অধ্যাপক ইউনূস তার দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা অনুভব করছেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি তার পদত্যাগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা আজ সকাল থেকেই স্যারের পদত্যাগ নিয়ে নানা আলোচনা শুনেছি। তাই এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলতেই তার সঙ্গে দেখা করতে যাই। তিনি বলেছেন, আন্দোলনের এই পরিবেশে তিনি কার্যকরভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার অভাবে তিনি নিজেকে একরকম ‘জিম্মি’ মনে করছেন।”
তিনি আরও জানান, “স্যার বলেছেন, যদি কাজ করতে না পারি, তাহলে থেকে কী লাভ? যদি রাজনৈতিক দলগুলো আস্থা না দেয়, তাহলে তিনি আর থাকার যৌক্তিকতা দেখছেন না।”
তবে এনসিপি আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনূসকে এখনই পদত্যাগ না করে দৃঢ় অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “গণ-আকাঙ্ক্ষা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং দেশের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে আমরা তাকে বলেছি, তিনি যেন শক্ত অবস্থানে থাকেন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য গড়ার চেষ্টা চালিয়ে যান।”
অন্যদিকে, একই দিনে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টা এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেছে একটি প্রধান রাজনৈতিক দল। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ইশরাক হোসেনকে শপথ পড়ানো নিয়ে চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই দাবি তোলা হয়েছে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটি তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমানের অপসারণ দাবি করে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, এনসিপির এক শীর্ষ নেতা পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় জানান, সংস্কার সুপারিশ বাস্তবায়ন না হলে অন্তর্বর্তী সরকারের এই ৩ উপদেষ্টাকে বিএনপির ‘মুখপাত্র’ আখ্যা দিয়ে তাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে পূর্বের কিছু বিভাজনমূলক বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সূত্র: বিবিসি বাংলা
বিডি/ও