ইরানের হামলা: ইসরায়েলের হতাহতের সংখ্যা জানা গেলো

Published : ১২:১৯, ১৪ জুন ২০২৫
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে গতকাল রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করেছে ইরান। তেহরানের মিসাইলে ইসরায়েলের রাজধানী জেরুজালেম ও গুরুত্বপূর্ণ শহর তেল আবিবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় সরাসরি আঘাত হেনেছে। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৪ জুন) টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
ইসরায়েলের জরুরি পরিষেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম (এমডিএ) জানায়, মধ্য ইসরায়েলে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় অন্তত দুইজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আহতদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা গুরুতর, বাকিদের সামান্য আঘাত রয়েছে। তাদের সবাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরায়েলের শেবা মেডিকেল সেন্টার জানিয়েছে, ইরানের হামলায় আহত ৪৩ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং ২৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সিএনএন জানিয়েছে, ইরানের হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকা পড়েছেন। ঘটনাস্থলে কয়েক ডজন উদ্ধারকর্মী এবং সামরিক কর্মীদের দেখা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিনগত রাত হঠাৎ ইরানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামের এই অভিযানে রাজধানী তেহরানসহ ইরানের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র ও আবাসিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইহুদিবাদী সেনারা।
হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, দেশটির ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার হোসেইন সালামি, খাতাম আল-আনবিয়া সদরদপ্তরের কমান্ডার ও বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেজর জেনারেল গোলাম আলি রশিদ ও ৬ জন পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হামলা এখনও অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের হামলার পর পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে শুক্রবার রাতে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩ নামে’ অভিযান শুরু করে ইরান। মিসাইল হামলা শুরু হতেই নিজের নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান ও উচ্চপদস্থ মন্ত্রীদের সঙ্গে নিয়ে মাটির নিচে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
বিডি/ও