বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক দুঃসহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত কারণে।
বর্তমানে তিনি হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। এই সংকটময় সময়ে দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তার ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা প্রত্যাশা করছেন।
তবে শনিবার (২৯ নভেম্বর) সকালে তারেক রহমান নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি আবেগঘন পোস্ট প্রকাশ করেছেন।
সেখানে তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, এখনই দেশে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার তার একক নিয়ন্ত্রণে নেই এবং এটি কোনও একক ব্যক্তির সিদ্ধান্তের বিষয় নয়।
এই প্রসঙ্গে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও বলেন, “তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্টই তার উত্তর।”
তিনি আরও যোগ করেন, সামাজিক মাধ্যমে নানা ধরনের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, কিন্তু ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দেশে ফেরার পথে কোনো বাধা নেই।
মির্জা ফখরুল খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার বিবরণও দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, চেয়ারপারসন কয়েক দিন ধরে অসুস্থ, বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং শারীরিক অবস্থার কিছুটা সংকটাপন্ন।
দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা – বাংলাদেশি চিকিৎসক, জন হপকিনস এবং লন্ডন ক্লিনিকের ডাক্তাররা – তার সুস্থতার জন্য তৎপর। শুক্রবার একটি মেডিকেল বোর্ড বসে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তার শারীরিক অবস্থা আপাতত ফ্লাইটের জন্য উপযুক্ত নয়। তবে বিদেশে নেওয়ার জন্য সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আগে থেকেই সম্পন্ন রাখা হয়েছে। যখন তিনি ফ্লাইটে যাত্রার জন্য প্রস্তুত হবেন, তখন দ্রুত তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।
অতএব, মির্জা ফখরুল দলের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের হাসপাতালের সামনে ভিড় না করার জন্য সতর্ক করেছেন। হাসপাতালের ভিড়ে চিকিৎসকরা বিব্রত হচ্ছেন, যা অন্য রোগীদের সেবা প্রভাবিত করতে পারে।
তিনি সকলকে অনুরোধ করেছেন, খালেদা জিয়া এবং হাসপাতালের অন্যান্য রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে কারোই অবাঞ্ছিত উপস্থিতি না থাকার দিকে গুরুত্ব দিতে।
