৪৯তম বিশেষ বিসিএস: পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও সার্কুলারে নেই আরবি বিভাগ

৪৯তম বিশেষ বিসিএস: পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও সার্কুলারে নেই আরবি বিভাগ

ক্যাম্পাস প্রতিনিধি:

Published : ১৯:৫৬, ৪ আগস্ট ২০২৫

৪৯তম বিসিএস’র (সাধারণ শিক্ষা) বিজ্ঞপ্তিতে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়ে পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও সার্কুলারে রাখা হয়নি আরবি বিভাগের নাম। এর প্রতিবাদে এবং সার্কুলারে বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। 

সোমবার (৪ আগস্ট) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইবরাহীম নাফিস।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক নিয়োগের জন্যই ৪৯তম বিসিএস’র বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সরকারি কলেজের প্রভাষক পদ বেশি শূন্য থাকলে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসের পর থেকে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিষয়ে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৬৬টি কলেজে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ বিভাগ রয়েছে। ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) কেবল সরকারি কলেজের প্রভাষক নিয়োগের জন্য দেওয়া হয়েছে বিধায় বিজ্ঞপ্তিতে আরবি ও ইসলামী শিক্ষার প্রভাষক পদ শূন্য দেখানো হবে বলে আমরা আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু আরবি ও ইসলামী শিক্ষার কোনো পদ শূন্য নেই দেখে আমরা চরম হতাশ হয়েছি। অথচ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই বিষয়ের ৩৩টি প্রভাষক পদ শূন্য রয়েছে।

নাফিস বলেন, বিসিএস পরীক্ষার বিভিন্ন ধাপের আয়োজন সম্পন্ন করে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় দুই বছর সময় লেগে যায়, ততদিনে নিশ্চয়ই আরো পদ শূন্য হবে। এত পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য না দেখানো অত্যন্ত দুঃখজনক ও আমাদের জন্য চরম হতাশার বিষয়। আমরা এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের দাবি জানিয়েছি। এছাড়া পিএসসির চেয়ারম্যানকেও মৌখিকভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ৪৯তম বিসিএস (বিশেষ) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে ‘আরবি ও ইসলামী শিক্ষা’ -এর শূন্য পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করে আরবির শিক্ষার্থীদের আবেদনের সুযোগ সৃষ্টির জন্য তারা জোর দাবি জানান।

যৌক্তিকতা থাকা সত্ত্বেও দাবি না মানা হলে আইনি সহায়তা গ্রহণসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মুনতাসীর আহমেদ মুয়াজ, ১৪তম ব্যচের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান এবং নাঈম তানভীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুনঃ
Advertisement