সন্তানের মৃত্যুতে পরিবারের ভবিষ্যৎ অন্ধকার

Published : ১৭:১২, ৫ মে ২০২৫
পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সম্বল ছেলের মৃত্যুতে বাবা হাবিল মিয়া শোকে পাথর হয়ে পাগলের মত রাস্তায় ঘুরছেন।
জানা যায়, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের হাবিল মিয়া ছিল একজন পোশাক শ্রমিক। ২০১৯ সালে কিডনি রোগে আক্রান্ত হলে তিনি বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে দেন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাস্তুভিটাসহ ২৫ শতক জমি বিক্রি করে হন বাস্তুহারা।
ছেলে শরিফ মিয়া ২০২৪ সালে এইচএসসি পাশ করে সংসারের হাল ধরতে ২০২৪ সালে মাঝামাঝি সময়ে একটি পোশাক
কারখানায় কাজ শুরু করেন। পুত্র শরিফ মিয়া বেতন দিয়ে কোন রকমে সংসার চলছিল।
এরই মধ্যে গত ৩ এপ্রিল রাতে স্ট্রোক করে শরিফ মিয়ার মৃত্যু হয়। সন্তানের মৃত্যুতে হাবিল শোকে কাতর হয়ে পাগলের মত রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছেন। হাবিলের পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার।
হাবিলের স্ত্রী সুফিয়া বেগম বলেন, সন্তানের মৃত্যু, স্বামী কিডনি রোগে আক্রান্ত ঘরে ২ জন বিয়ের উপযুক্ত কন্যা রয়েছে একজনের বয়স ২২ বছর। আরেক একজনের বয়স ১৯ বছর। বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে দুইজনও অসুস্থ।
অসুস্থ মেয়েদের ও স্বামীর চিকিৎসা ও কন্যাদের বিয়ের জন্য ১৫/১৬ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এ অবস্থায় কি করবো কুল-কিনার পারছি না। সমাজের হৃদয়বান ব্যক্তিদের নিকট সাহায্যের আবেদন করেছি।
বিডি/ও