বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক

Published : ১৬:৩২, ১৬ মে ২০২৫
সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ রাত ৯টার দিকে কিশোরী পড়ার সময় গোপনে ঘরে ঢুকেন আল আমিন। বিয়ে আমি তোমাকেই করবো বলে তার সঙ্গে জোর করতে থাকেন তিনি। একপর্যায়ে কিশোরী চিৎকার চেঁচামেচি করেন। তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন এবং আল আমিনকে ধরে ফেলেন। এরপরে অভিযুক্ত আল আমিনের পরিবারের লোকজন আসতে বললে তারা এসে দুপক্ষের সালিশ বসে। এতে সিদ্ধান্ত হয় এক সপ্তাহ পর দুজনের বিয়ে হবে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ৪ মাস আগে আল আমিন তার ভাইয়ের শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গেলে তার সঙ্গে উপজেলার আলাওলপুর এলাকার ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কিশোরীর (১৫) পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে পরে বেড়াতে গিয়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মধ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওই বাড়িতে গিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আল আমিন। তবে বিয়ের কথা বললে আল আমিন তার মা-বাবার সঙ্গে কথা বলবে বলে চলে যান।
এদিকে সপ্তাহ পার হলেও বিয়ের কোনো আলাপ না করে কিশোরীর পরিবারকে হুমকি দিয়ে আসছে আল আমিন। এ বিষয়ে মামলা করলে খুন করে লাশ গুম করে দেবেন বলে হুমকিও দেওয়া হয়। পরে পরিবারের সহযোগিতায় কিশোরী বাদী হয়ে গোসাইরহাট থানায় আল আমিনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
গোসাইরহাট থানার ওসি বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে অভিযুক্ত আল আমিনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ও আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।