ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে দুই জনের মৃত্যু

Published : ০০:৫৫, ৬ আগস্ট ২০২৫
ঝিনাইদহে সাপের কামড়ে পৃথক স্থানে শিশু সহ এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ৫ আগষ্টের প্রথম প্রহর মঙ্গলবার রাত আনুমানিক তিনটার সময় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুতি দূর্গাপুর গ্রামের খোন্দকার সুরুজ মিয়ার মেয়ে সাদিয়া খাতুনের (২)সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে।
মৃতের বাবা জানান, মঙ্গলবার রাত তিনটার সময় ঘরের মেঝেতে মশারী টানিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম আমার স্ত্রী ও ২ বছরের কন্যা সাদিয়াকে নিয়ে। হটাৎ স্ত্রীর পায়ে ঠান্ডা অনুভব হলে আমাকে জানাই। তড়িঘড়ি করে উঠে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে দেখি মশারীর মধ্যে সাপ। তাৎক্ষণিকভাবে ঘুম থেকে উঠে যায়। এরপর আমার ভাইদের ডাক দেয়।তারা এসে সাপ মারতে চেষ্টা করে সাপ ফ্রীজের ফাঁকে চলে যায় মারা সম্ভব হয়নি।পরক্ষণেই সাদিয়া অসুস্থ অনুভব হলে পার্শ্ববর্তী মসজিদের হুজুরের নিকট নিয়ে যায় তখন হাত চালান দিয়ে দেখে সাপের বিষ নেই।
এরপর আরও অসুস্থ বেশি হলে তালসার গ্রামে গ্রাম চিকিৎসক নেয়ামুলের নিকট নিয়ে যায়। নেয়ামুল নেবুলাইজার দিয়ে কোন পরিবর্তন না হলে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরক্ষণে ঐ গ্রামের সাপের বিষ নামানো এক ওঝা বাহার আলীর নিকট নিয়ে যায়।ওঝা দেখার পর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এবিষয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক গোলাম মাহবুব জানান। সাদিয়া (২) নামের সাপে কাটা রোগী হাসপাতালে সকাল ছয়টা পনেরো মিনিটের সময় নিয়ে আসেন রোগীর স্বজনেরা।আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।
এদিকে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সাপের কামড়ে হাসিবুল হাসান জনি (৪০) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত জনি উপজেলা মোল্লাকুয়া গ্রামের মৃত ইউছুপ আলীর ছেলে ও ঝিনাইদহ আদালতে মুহুরির কাজ করতেন।
জনির প্রতিবেশি স্কুল শিক্ষক আব্দুস ছালাম জানান, সোমবার দিবাগত রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন জনি। ঘুমের মধ্যে বিষধর সাপে তার কানে কামড় দেয়। এসময় টের পেয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রাম সুবিতপুরে এক ওঝার কাছে নিয়ে ঝাড়ফুক করে। এরপর বাড়ি এসে আবার শুয়ে পড়ে। পরে আরো অসুস্থ হয়ে পড়লে ভোর সাড়ে ৫টায় কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে।
এসময় ডাক্তার তাকে চিকিৎসা দিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপতালে পাঠিয়ে দেন। যশোর নেওয়ার পথে সকাল ৭টার দিকে মারা যান।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শিশির কুমার সানা জানান, রাতে ডাক্তার আব্দুল্লাহ আল মামুন দ্বায়িত্বে ছিলেন। তবে, রোগীর অবস্থা শেষ পর্যায়ে পৌছালে পরিবার তাকে হাসপাতালে এনেছিলেন। হাসপাতালে আনার পর রোগীকে এন্টিভেনম দেওয়া হয়। কিন্তু রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় যশোর ২৫০ শয্যা হাসপতালে রেফার করেন।