গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে পদদলিত, প্রাণ গেল দুজনের

গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে পদদলিত, প্রাণ গেল দুজনের ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১৬:৫৩, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহ্যবাহী জশনে জুলুসে পদদলিত হয়ে দুইজনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে নগরীর মুরাদপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের একজন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার আইয়ুব আলী (৬০) এবং অপরজন নগরের কালামিয়া বাজারের কিশোর সাইফুল ইসলাম (১৩)।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আহতদের মধ্যে একজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া ট্রাস্টের মেডিকেল টিমের সহায়তায়।

টিমের সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, প্রচণ্ড ভিড় ও গরমে কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে পদদলনের ঘটনা ঘটে। আহত আটজনকে উদ্ধার করে চমেকে নেওয়া হলে দুজন মারা যান।

জশনে জুলুসের আনুষ্ঠানিকতা সকাল ১০টায় আলমগীর খানকা শরীফ থেকে শুরু হয়। শোভাযাত্রার নিরাপত্তায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় এবং অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবক সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করেন। ভোর থেকেই নগরের বিভিন্ন মোড়ে ট্রাক ও মিনি ট্রাক সাজিয়ে ভক্তরা শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে জশনে জুলুসের সূচনা হয় ১৯৮০ সালে। গত ৫৪ বছর ধরে আঞ্জুমান-এ-রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের আয়োজনে এটি নিয়মিত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। নেতৃত্ব দেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ। এতে দেশি-বিদেশি অসংখ্য আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ ও সাধারণ মুসল্লিরা অংশ নেন।

আল্লামা সাবির শাহ বলেন, “জশনে জুলুস হলো নবীপ্রেমের আলোকিত প্রদীপ। লাখো মানুষের উপস্থিতি প্রমাণ করে নবীজির প্রতি ভালোবাসা ও মুসলমানদের ঐক্য।”

জুলুস চলাকালে প্রতিটি মোড়ে ভক্তদের জন্য শরবত, পানি ও তাবাররুক বিতরণের ব্যবস্থা ছিল। শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের অংশগ্রহণে পুরো আয়োজন রূপ নেয় ভ্রাতৃত্ব ও আতিথেয়তার মহোৎসবে। চট্টগ্রামের এই জুলুস বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় শোভাযাত্রা হিসেবে স্বীকৃত।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement