নুরুল ইসলামের স্ট্যাটাস: লাশ অপমানের ঘটনার সঙ্গে নিজেকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত

নুরুল ইসলামের স্ট্যাটাস: লাশ অপমানের ঘটনার সঙ্গে নিজেকে জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছবি: সংগৃহীত

বিজনেস ডেইলি ডেস্ক

Published : ১২:৫৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরীফে হামলা ও কবর থেকে মরদেহ তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজবাড়ী জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম।

শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ ঘটনার নিন্দা প্রকাশ করেন।

স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন  বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সর্বদলীয় ও সর্বমহলের ইমান আকিদাহ সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, শুক্রবার বাদ জুমা গোয়ালন্দ উপজেলায় কোনো মিছিল হবে না, কেবল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এ সিদ্ধান্তের কথা কমিটির সভাপতি মাওলানা ইলিয়াস আলী মোল্লা উপজেলা ইমাম কমিটির সভাপতিকে অবহিত করেন।

তিনি আরও লেখেন, শুক্রবার দুপুরে তিনি নিজে নুরাল পাগলার বাড়িতে গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সেখানে মাটির সমতলে মরদেহ আনার কার্যক্রমও প্রত্যক্ষ করেন। উপস্থিত সাংবাদিকরা যখন এ বিষয়ে প্রশ্ন করেন, তখন তিনি স্পষ্ট করে জানান  এখানে শুধু সমাবেশ হবে, কোনো মিছিল নয়। বিষয়টি তিনি বিএনপির উভয় গ্রুপসহ উপজেলা ইমান আকিদাহ সংরক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা জালাল ও অন্য সদস্যদের জানিয়েছিলেন। তারা তাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে, আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত জানাবেন। তবে সেখানে মিছিল হবে  এমন কোনো বিষয় তিনি জানতেন না।

জেলা আমির লিখেছেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও ন্যক্কারজনক। আমার জীবনে কখনো শুনিনি বা দেখিনি, লাশ মাটি থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়া যায়। এ ধরনের কাজ সম্পূর্ণ অমানবিক ও অন্যায়। মৃত মানুষকে অপমান করা বা বাড়িঘর লুটপাট করা ইসলামে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আমাকে এ ঘটনায় জড়িয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”

উল্লেখ্য, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষুব্ধ জনতা নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালায়। তারা অভিযোগ তোলে যে, শরীয়তবিরোধী পদ্ধতিতে দাফন করা হয়েছে। পরে মরদেহ কবর থেকে তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়।

BD/AN

শেয়ার করুনঃ
Advertisement