ইরানে সামরিক নেতৃবৃন্দ, বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বিশাল রাষ্ট্রীয় জানাজা অনুষ্ঠিত

Published : ২১:২৬, ২৮ জুন ২০২৫
ইরান আজ রাজধানী তেহরানে এক বিশাল রাষ্ট্রীয় জানাজার আয়োজন করেছে, যেখানে সম্প্রতি ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে নিহত প্রায় ৬০ জনকে সম্মান জানানো হয়। নিহতদের মধ্যে ছিলেন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী, বেসামরিক নাগরিক, নারী ও শিশু।
জানাজার মিছিলটি তেহরানের ইঙ্গেলাব (বিপ্লব) স্কয়ার থেকে শুরু হয়ে আজাদি স্কয়ার পর্যন্ত যায়। হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে পতাকাবাহী কফিন বহন করেন এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দেন। জাতীয় শোক ও সংহতির প্রতীক হিসেবে সরকার দিনটি জাতীয় ছুটি ঘোষণা করে।
সম্মান জানানো ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন ইসলামিক রেভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি)-এর কমান্ডার-ইন-চিফ, আইআরজিসি এর মহাকাশ বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ। এরা সবাই ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন, যখন ইরানের গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়।
জানাজায় উপস্থিত ছিলেন ইরানের রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সামরিক ও রাজনৈতিক শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জনসমক্ষে না এলেও এক বিবৃতিতে এই সংঘর্ষের সমাপ্তিকে ইরানের "কৌশলগত সাফল্য" বলে অভিহিত করেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হামলায় ৬০০’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন হাজারেরও বেশি। নারী ও শিশুসহ অনেক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু জাতিগত শোক ও জনরোষ বাড়িয়ে তোলে। স্বাধীন সূত্রগুলো আরও বড় মৃত্যুসংখ্যার ইঙ্গিত দিয়েছে।
সরকার এই জানাজাকে জাতীয় ঐক্য ও দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবে তুলে ধরে, এবং নিহতদের আত্মত্যাগকে ‘জাতীয় মর্যাদার’ অংশ হিসেবে উপস্থাপন করে। এটি ছিল যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ের অন্যতম বড় জনসমাবেশ, যা ইরানের আঞ্চলিক অবস্থান ও প্রতিরোধের বার্তা শক্তিশালী করে তোলে।