ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

ইকামাতে দ্বীনের আন্দোলনকে শক্তিশালী করতে হবে: অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

Published : ১৮:৩৭, ২৮ জুন ২০২৫

আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সংগঠন মজবুতি ও দাওয়াত সম্প্রসারণের কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে ও সাবেক এমপি আমীর অধ্যাপক মজিবুর রহমান।

শনিবার (২৮ জুন) সাভারের মামুন কমিউনিটি সেন্টারের হলরুমে ইউনিয়ন/ওয়ার্ড সভাপতি ও সেক্রেটারিদের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা জেলা আমীর মাওলানা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, জেলা সেক্রেটারি ও জামায়াত মনোনীত ঢাকা-১৯ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আফজাল হোসাইনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট মশিউল আলম ও রাজশাহী জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল খালেক। 

এতে উপস্থিত ছিলেন- জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রউফ, অধ্যক্ষ শাহীনুর ইসলাম, সহকারি সেক্রেটারি এবিএম কামাল হোসাইন, মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, রাজনৈতিক সেক্রেটারি হাসান মাহবুব, আইন বিষয়ক সেক্রেটারি এডভোকেট শহিদুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ তৌহিদ হোসেন, এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক মÐল, ইমদাদুল হক, মাওলানা ইসমাইল হোসেন, আব্দুর রহিম মজুমদার এবং প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান জীম প্রমূখ।

মুজিবুর রহমান বলেন, ইসলামী আন্দোলন গতিশীল ও মজবুত করতে হলেও কর্মীদের ময়দানে আপোষহীন ভূমিকা পালন করতে হবে। একই প্রত্যেককে হতে হবে দাঈ ইলাল্লাহ। প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বীন হক্ব সম্পর্কে সঠিক ধারণা এবং বান্দাহ হিসাবে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে আত্মসচেতনস করে তোলার কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বে গুণাবলী সৃষ্টির জন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে অধ্যবসায়ী হতে হবে।

কুরআন, হাদিস ও ইসলামী সাহিত্য বেশি বেশি অধ্যয়নের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে। তাহলেই আমাদের পক্ষে ময়দানে কাজ করা সহজ হবে এবং দ্বীনের বিজয় অনিবার্য উঠছে। তিনি আল্লাহর জমীনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সকলকে ময়দানে যেকোন ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তত থাকার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যে সমাজ বিশ্বনবী (সা.)-এর আদর্শ অনুযায়ী পরিচালিত হবে। যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে। রাসূল (সা.) এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করেছিলেন যে সমাজে সানা থেকে হাজরামাউত পর্যন্ত নারীরা নির্বিঘ্নে-নিরাপদে ও সম্ভ্রম নিয়ে চলাফেরা করতে পারতেন। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভূল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি দেশকে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শের কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে সম্মিলিত প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট মসিউল আলম বলেন, ইসলামী সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মজবুত গণভিত্তি জরুরী। আর একাজে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য সমাজের প্রত্যেক ঘরে ঘরে, পাড়া মহল্লায় ব্যাপক দাওয়াতি কাজ করতে হবে। তাহলেই দ্বীনের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

অধ্যাপক আব্দুল খালেক বলেন, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড দায়িত্বশীলরা হলেন মাটি ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত নেতৃত্ব। তাদের সাহস, ত্যাগ, সততা ও নিষ্ঠাই সংগঠনের অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি। তাই দ্বীন বিজয়ের জন্য তাদেরকে ময়দানে ঐতিহাসি ভূমিকা পালন করতে হবে।

বিডি/ও

শেয়ার করুনঃ
Advertisement