বিশ্বকাপে জায়গা পেতে বাংলাদেশকে মেলাতে হবে যে সমীকরণ

Published : ২০:০৮, ৮ জুলাই ২০২৫
প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। এই ঐতিহাসিক অর্জনের রেশ না কাটতেই এবার লাল-সবুজ শিবিরের চোখ আরও বড় স্বপ্নে ২০২৭ নারী ফুটবল বিশ্বকাপ।
আগামী বছর অস্ট্রেলিয়ায় বসছে ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপের আসর। এই টুর্নামেন্ট থেকেই শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে যাওয়ার লড়াই।
এশিয়ান কাপ থেকেই ৬টি দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০২৭ বিশ্বকাপে। আরও দুটি দল খেলবে আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে। অর্থাৎ, বিশ্বকাপে খেলতে হলে বাংলাদেশকে থাকতে হবে অন্তত সেরা ছয়ের মধ্যে।
এবারের এশিয়ান কাপে অংশ নেবে ১২টি দল। তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে তারা। প্রত্যেক গ্রুপ থেকে শীর্ষ দুই দল সরাসরি যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে। তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলোর মধ্যে সেরা দুই দলও পাবে শেষ আটে জায়গা।
সেখানে কোয়ার্টার ফাইনালের বিজয়ী ৪ দল সরাসরি যাবে বিশ্বকাপে। বাকি চার দল নিজেদের মধ্যে দুটি প্লে-ইন ম্যাচ খেলবে, যেখানে দুই জয়ী দল বিশ্বকাপে জায়গা করে নেবে। যারা হারবে, তাদের পড়তে হবে কঠিন আন্তঃমহাদেশীয় প্লে-অফে।
বিশ্বকাপের পাশাপাশি এশিয়ান কাপ হবে ২০২৮ লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের বাছাইয়ের মঞ্চও। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেই মিলবে অলিম্পিক বাছাইপর্বে খেলার সুযোগ।
সেই বাছাইপর্বে দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে হবে খেলা, আর প্রতিটি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন পাবে অলিম্পিকে খেলার টিকিট। এদিকে, ২৯ জুলাই অস্ট্রেলিয়ার সিডনির টাউন হলে অনুষ্ঠিত হবে আসন্ন এশিয়ান কাপের গ্রুপ পর্বের ড্র।
দলগুলোকে র্যাঙ্কিং অনুযায়ী চারটি পটে ভাগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ রয়েছে চতুর্থ পটে, যেখানে আছে ভারত ও বাছাইপর্ব থেকে উঠে আসা গ্রুপ ‘এ’-এর একটি দল।
প্রথম পটে রয়েছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও উত্তর কোরিয়া। দ্বিতীয় পটে আছে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম। তৃতীয় পটে ফিলিপাইন, চাইনিজ তাইপে ও উজবেকিস্তান।
আগামী ১-২১ মার্চ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার তিনটি শহরের পাঁচটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ নারী এশিয়ান কাপ। এই টুর্নামেন্ট দিয়েই শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিক স্বপ্নযাত্রা।
বিডি/ও