পেটের মেদ ঝরাতে সহায়ক ১০টি ফল, বলছেন পুষ্টিবিদরা

Published : ২০:৩১, ৮ জুলাই ২০২৫
পেটের অতিরিক্ত মেদ শুধু সৌন্দর্যহানিকর নয়, এটি হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের মতো সমস্যার অন্যতম কারণ। তবে আশার কথা হলো, নিয়মিত ব্যায়াম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে এই মেদ কমানো সম্ভব। পুষ্টিবিদদের মতে, কিছু ফল রয়েছে যেগুলোতে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান চর্বি হ্রাসে সরাসরি ভূমিকা রাখে। নিচে এমন ১০টি ফল তুলে ধরা হলো, যা পেটের মেদ কমাতে কার্যকর প্রমাণিত। ১. আপেল: দ্রবণীয় ফাইবার সমৃদ্ধ আপেল দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং অপ্রয়োজনীয় খাওয়ার প্রবণতা কমায়। এতে থাকা পেকটিন শরীর ডিটক্স করে ও অভ্যন্তরীণ চর্বি হ্রাসে সহায়তা করে। প্রতিদিন সকালে একটি আপেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। ২. কলা: কলা শক্তির প্রাকৃতিক উৎস। এতে রয়েছে পটাসিয়াম ও রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ, যা দেহের জলধারণ ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণে রেখে ফোলাভাব কমায়। ব্যায়ামের আগে একটি কলা খেলে ফল মেলে বেশি। ৩. অ্যাভোকাডো: মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ অ্যাভোকাডো খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে চর্বি গলাতে সাহায্য করে। এটি পাউরুটি বা সালাদে ব্যবহার করা যেতে পারে। ৪. বেরি: স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি ও রাস্পবেরির মতো ফলগুলোতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ফাইবার রয়েছে, যা ইনসুলিন নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফ্যাট বার্নে সহায়তা করে। দই কিংবা ওটমিলে বেরি যোগ করুন। ৫. গ্রেপফ্রুট: এই সাইট্রাস ফলটি ইনসুলিন সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে বিপাকক্রিয়া দ্রুততর করে। খাবারের আগে অর্ধেক গ্রেপফ্রুট খাওয়ার অভ্যাস মেদ কমাতে সাহায্য করতে পারে। ৬. তরমুজ: ৯০ শতাংশের বেশি পানি থাকার কারণে তরমুজ শরীরকে ডিটক্স করে ও পেট ফোলাভাব দূর করে। স্ন্যাকসের বিকল্প হিসেবে তরমুজ হতে পারে স্বাস্থ্যকর পছন্দ।
৭. আনারস: আনারসে রয়েছে ব্রোমেলিন নামের একটি এনজাইম, যা হজমে সাহায্য করে ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমায়। এটি সালাদে বা খাবারের আগে খাওয়া উপকারী। ৮. কমলা: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং চর্বি পোড়ানোর হার বাড়ায়। দুপুরে ক্ষুধা লাগলে একটি কমলা হতে পারে সেরা বিকল্প। ৯. পেঁপে: পেঁপেতে থাকা পাপেইন এনজাইম হজমশক্তি বাড়ায় ও লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে, যা শরীরে চর্বি জমা প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে। ১০. ডালিম ডালিমে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পলিফেনল, যা ফ্যাট বার্নিং হরমোন সক্রিয় করে এবং পেটের গভীর চর্বি হ্রাসে সহায়তা করে।
ফল খাওয়ার মাধ্যমে পেটের মেদ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সুস্বাদু ও নিরাপদ উপায়ে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় এসব ফল অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনই আকর্ষণীয় ফিটনেসও বজায় থাকবে।
BD/Sk