বিচারিক প্রক্রিয়ায় আ. লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে: এ্যানি

Published : ২০:৪০, ১১ মে ২০২৫
সবার আগে হাসিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের বিচার এবং আইনের মাধ্যমে বিচারিক প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ। এটা নিয়ে পাড়া-মহল্লায়, শাহবাগে, যমুনায় বারবার মিছিল-মিটিং করতে হবে, গাড়ি আটকাতে হবে, এতে মানুষের কষ্ট হবে। এটি জনগণ চায় না, প্রত্যাশা করে না। জনগণ চায় টেবিলে আলোচনা করে শেষ করেন। টেবিলে আলোচনাটা জরুরি ছিল। সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে নিয়ে আলোচনা করলে এ নিষ্পত্তিটা আরও আগেই হতো।
তিনি বলেন, মানুষ এখন দেশ গড়তে চায়। আমরা যেসব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে আন্দোলন করেছি, সেখানে যদি বিন্দুমাত্র মতভেদ তৈরি হয়, মানুষ মনে কষ্ট পাবে। এ কষ্ট আমরা মানুষকে দিতে চায় না। আমরা ১৭ বছরের বিচার চেয়েছি। গণহত্যা, গুম-খুনের বিচার চেয়েছি। দুর্নীতি, টাকা পাচারের বিচার চেয়েছি। আমাদের আন্দোলনের ফসল হলো বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার নয় মাস দায়িত্ব পালন করছে। ৯ মাসে এখনো পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো বিচার দেখছি না। বিচার প্রক্রিয়া এত স্লো কেন, কারণ কী? হাসিনার বিচারটা যদি দৃশ্যমান আর দ্রুত হয়, তাহলে দেশের মানুষ খুশি হবে, আশ্বস্ত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য হাফিজুর রহমান, জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক, চন্দ্রগঞ্জ থানা বিএনপির আহ্বায়ক বেলাল হোসেন ও সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাচ্চু প্রমুখ।