পলিনেট হাউজে টমেটো চাষে লাভবান টাঙ্গাইলের গৃহিনী

Published : ২৩:০৬, ২৩ মে ২০২৫
টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় পলিনেট হাউজে বিভিন্ন সবজির আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। বিশেষ করে টমেটোর আবাদ বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। জেলার সখীপুর উপজেলার নামদারপুর গ্রামের গৃহিনী রুমা আক্তার পলিনেট হাউজে টমেটোর আবাদ করে এলাকায় তাক লাগিয়েছেন। তার দেখাদেখি আরও অনেকে স্বপ্ন দেখছেন সবজি আবাদে।
পোঁকার আক্রমণ নেই বললেই চলে। আবহাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় খুব সহজেই। কৃষি বিভাগ থেকেই চাষীদের সার্বিক সহযোগিতা করা হয়।
জানা যায়, সরকারি সহযোগিতায় সখীপুর উপজেলার নামদারপুর গ্রামের গৃহিনী রুমা আক্তার পলিনেট হাউজে এবার টমেটোর আবাদ করেন। বাজারে সাধারণ টমেটোর দাম ২০ টাকা কেজি হলেও তার টামেটোর বিক্রি করেছেন ৫০ টাকা কেজি করে। লাল টকটকে ও পোঁকার আক্রমণ বা কোন দাগ না থাকায় তার টমেটো দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি স্বাদের দিক থেকেও অতুলনীয়। মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে করে তিনি টমেটো বিক্রি করেছেন এক লাখ ২০ হাজার টাকার।
কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মৌসুমে টাঙ্গাইলে ৬৮০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদ হয়েছে। ফলন এসেছে ১১ হাজার ৩৭৫ মেট্রিক টন টমেটো। এবার বাজারে অন্য বছরের তুলনায় টমেটোর দাম অনেক কম ছিল। তারপরও পরিকল্পিত উপায়ে টমেটোর আবাদ করার কারণে অনেকেই লাভবান হয়েছে।
গৃহিনী রুমা আক্তার বলেন, আমি ৪-৫ শতাংশ জমিতে পরিনেট হাউজ প্রদদ্ধিতে টমেটো আবাদ করেছি। এতে ফলন ভালো হয়েছে। এতে আমার ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। টমেটোর ফলনও ভালো হয়েছে। কোন প্রকার পোকার আকক্রণ করেনি। এ পর্যন্ত ১ লাখ ২০ হাজার টাকার টমেটো বিক্রি করেছি। যে কেউ ইচ্ছে করলে কম খরচে এ পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করতে পারবেন।
স্থানীয়রা বলেন, রুমার দেখাদেখি এলাকার অনেকেই স্বপ্ন দেখছেন টমেটো আবাদের। আমরা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চাই টমেটোর আবাদের মাধ্যমে।
টাঙ্গাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আশেক পারভেজ বলেন, নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে আবাদ করা হয়। জেলার ১২টি উপজেলায় ১২টি পলিনেট হাউজ রয়েছে। বিশেষ করে এ পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করে কৃষকরা দাম ভালো পাচ্ছেন।
এছাড়াও গ্রীষ্মকালে অনেকেই পলিনেট হাউজ পদ্ধতিতে টমেটো আবাদ করছেন। এতে করে তারা বেশ লাভবানও হচ্ছেন। পলিনেট হাউজে টমেটোসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি আবাদে কৃষকদের তথ্য ও প্রযুক্তিগত সহায়তা করা হচ্ছে।
বিডি/ও