রাজধানীতে সঙ্গীর জননাঙ্গ কেটে ফেলার ঘটনায় গ্রেপ্তার নারী পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন

Published : ২১:৪৮, ১২ জুলাই ২০২৫
রাজধানীর মিরপুরে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের জননাঙ্গ কেটে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া এক নারী পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুবরণ করেছেন। নিহত ওই নারী (২৭) একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। অপর দিকে আহত ৪৮ বছর বয়সী পুরুষ শিক্ষকের চিকিৎসা চলছে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ও পুরুষ শিক্ষক একই বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে নারী শিক্ষক পুরুষ শিক্ষকের মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনের বাসায় যান এবং রাতে একসঙ্গে অবস্থান করেন। অভিযোগ রয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থায় ওই নারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুরুষ শিক্ষকের জননাঙ্গ কেটে দেন। শুক্রবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যান রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে। এ ঘটনার পর ভাটারা থানা পুলিশ এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে নারী শিক্ষককে আটক করে। জানা যায়, আটক হওয়ার পর তিনি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ ফোন করে নিজেকে রক্ষার অনুরোধ জানান। এরপর আরও একটি দল পুলিশ গিয়ে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, থানা হেফাজতে থাকা অবস্থায় ওই নারী তাঁর আত্মীয়দের মাধ্যমে ‘ওষুধ’ আনার নাম করে কীটনাশক আনান এবং তা পান করেন। পরে তাঁকে প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পল্লবী থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ আলী জানান, আহত শিক্ষককে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মামলাটি রুজু হয়। নারী শিক্ষক ও তাঁর পরিবার দাবি করেছেন, ওই পুরুষ শিক্ষকই তাঁর স্বামী। তিন-চার মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু পরবর্তীতে পুরুষ শিক্ষক অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালে ক্ষোভ থেকে এই হামলা চালান বলে দাবি করেন তাঁরা। তবে পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত নারী আদৌ ওই শিক্ষকের বৈধ স্ত্রী ছিলেন কি না, তা যাচাইয়ে কাগজপত্র খতিয়ে দেখা হবে।এ ঘটনায় জনমনে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ বলছে, তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
BD/S