উইগ্রোর সহায়তায় স্বনির্ভর হচ্ছেন কৃষকেরা

Published : ১৮:০৯, ২৫ জুন ২০২৫
হাই-ভ্যালু কৃষিপণ্য উৎপাদনে সক্ষম করে তুলতে জয়পুরহাটে প্রায় এক হাজার ক্ষুদ্র কৃষককে কৃষি উপকরণ ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কৃষিভিত্তিক ফিনটেক প্ল্যাটফর্ম উইগ্রোর সহায়তায় এ কৃষকদের মধ্যে অনেকেই ঋণ সুবিধা নিয়ে সফলভাবে মৌসুমভিত্তিক চাষাবাদ সম্পন্ন করেছেন; বাকিরা এখনও এ প্রকল্পের অধীনে চাষাবাদ ও গবাদিপশু পালনের সাথে যুক্ত রয়েছেন।
গত সোমবার জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় উইগ্রোর সহায়তা পাওয়া ৫০ জনের বেশি কৃষক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে গত দুই বছরে প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। উল্লেখ্য, আক্কেলপুরের প্রায় ১৩০ জন কৃষক উইগ্রোর সহায়তা লাভ করেছেন।
অনুষ্ঠানে কৃষকদের উদ্দেশে উইগ্রোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ফাইয়াজ সাফির বলেন, “এই উদ্যাপনের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা কৃষকদের জীবনে ও জীবিকায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি, দেশের কৃষিখাতের ইতিবাচক রূপান্তরে ভূমিকা রাখতে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।”
কৃষিপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরও লাভজনক ও টেকসই করে তুলতে ঋণ সহায়তার পাশাপাশি কৃষকদের উন্নত মানের বীজ, সার ও কীটনাশক প্রদান করেছে উইগ্রো। পাশাপাশি, এ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কৃষকদের চাষাবাদে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কেও ধারণা প্রদান করা হয়। দেশের ৪০টিরও বেশি উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার কৃষকের সাথে কাজ করছে উইগ্রো প্ল্যাটফর্ম।
এ পর্যন্ত কৃর্ষকদের প্রায় ১ কোটি ২ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দিয়েছে উইগ্রো। এর মধ্যে সফল কার্যক্রমের ফলে কৃষকেরা ৭৮ লাখ ডলার পরিশোধ করে দিয়েছেন। উইগ্রোর কার্যক্রম নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির হেড অব বিজনেস ডেভেলপমেন্ট আরিফ রহমান জানান যে কৃষকদের জাতীয় অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই উইগ্রোর লক্ষ্য। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুরুল আলম আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতেও কৃষকদের ভবিষ্যৎ যাত্রায়ও পাশে থাকবে উইগ্রো।
২০২৩ সালে উইগ্রো ‘বাংলাদেশ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ডস’-এ বেস্ট স্টার্টআপ ইনোভেশন ও কৃষি খাতে বেস্ট ইনোভেশন পুরস্কার লাভ করে এবং ২০২৪ সালে সিংগাপুর ফিনটেক ফেস্টিভালে উইনার হিসেবে পুরস্কার লাভ করে ।
বিডি/ও