মেহেদীর ঘূর্ণিতে কোণঠাসা শ্রীলঙ্কা

মেহেদীর ঘূর্ণিতে কোণঠাসা শ্রীলঙ্কা

The Business Daily

Published : ২৩:০৩, ১৬ জুলাই ২০২৫

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এমন প্রত্যাবর্তন ক’জনের ভাগ্যে জোটে? মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট—বাংলাদেশের অফস্পিনার শেখ মেহেদী হাসান আজ কলম্বোর মাঠে গড়েছেন এক স্বপ্নের স্পেল। সিরিজ নির্ধারণী এই ম্যাচের প্রথম ইনিংসে তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে চাপে পড়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। ১২ ওভার শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ মাত্র ৭৩ রান, ততক্ষণে তাদের ৫টি উইকেট হারিয়ে চূড়ান্ত বিপর্যয়। মেহেদীর এটি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার—৪/১১।

তাও এমন এক ম্যাচে, যেখানে ফল নির্ধারণ করবে পুরো সিরিজের ভাগ্য। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার আগুনঝরা স্পেলেই মূলত নিয়ন্ত্রণ চলে এসেছে বাংলাদেশের হাতে। টস জিতে ব্যাট করতে নেমেই চাপের মুখে পড়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল তুলে দেওয়া হয় মেহেদীর হাতে—অধিনায়ক লিটন দাসের সেই সিদ্ধান্তেই বদলে যায় ম্যাচের মোড়। নিজের প্রথম ওভারেই কুশল পেরেরাকে বোল্ড করে দেন মেহেদী। পরের ওভারে ফেরান দীনেশ চান্দিমালকে। এরপর উইকেট শিকার চালিয়ে যান চরিথ আসালঙ্কা এবং সেট হয়ে যাওয়া পাথুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে। নিশাঙ্কাই ছিলেন একমাত্র শ্রীলঙ্কান ব্যাটার যিনি কিছুটা লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ৩৯ বলে ৪৬ রান করে লড়াইয়ে টিকে ছিলেন। কিন্তু তাকে ফিরিয়ে মেহেদী চতুর্থ উইকেটটি তুলে নিতেই শ্রীলঙ্কার ইনিংস ভেঙে পড়ে। 

ম্যাচের মাঝপথে স্টাম্প মাইকে ভেসে আসে লিটনের কণ্ঠ— “ঘোরাও মেহেদী, প্রথম বলেই ঘোরাও আসালাঙ্কাকে।” সেই নির্দেশনা মেনে মেহেদী যে ডেলিভারিটি দেন, তা সরাসরি উড়িয়ে দেয় আসালাঙ্কার অফ স্টাম্প! পরিসংখ্যান ছাপিয়ে মেহেদীর এই স্পেল ছিল কৌশল, পরিস্থিতির পড়াশোনা এবং নিখুঁত বাস্তবায়নের নিদর্শন। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিং শুধু উইকেটই এনে দেয়নি, ম্যাচের রাশও এনে দিয়েছে বাংলাদেশের হাতে। সিরিজ এখন ১-১ সমতায়।

এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের শুরুতেই মেহেদী হাসান যা করে দিয়েছেন, তাতে ম্যাচটি বাংলাদেশের দিকেই হেলে গেছে। এখন বাকিদের দায়িত্ব সেই ছন্দ ধরে রাখা।

 

BD/S

শেয়ার করুনঃ
Advertisement